COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: 'কোনও প্রত্যুত্তরের প্রয়োজন নেই', চিঠির মাথায় লেখা ছিল এটাই। মালিকপক্ষ সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে, কোনও পাল্টা মত শোনার কিংবা বোঝার গুরুত্বও অনুভব করেনি। ইমেল বাক্সে পাঠানো মালিকের একটা 'ইলেকট্রনিক চিঠি' পড়েই স্ফুলিঙ্গ খেলে গেল শ্রমিকের শরীরে! টাটা বলল 'টাটা'। টেলিসার্ভিস সেক্টর থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিল ভারতের অন্যতম 'নির্ভরযোগ্য' প্রতিষ্ঠান টাটা। মূলত 'সেলস' বিভাগ থেকেই কর্মী ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাটা কতৃপক্ষ। যে যে কর্মীর ওপর কর্মী ছাটাইয়ের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে তাদের প্রত্যেককে তাদের কর্ম বৎসর অনুযায়ী ১ মাসের বেতন দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছে টাটা। গোটা ভারতের সর্বত্রই কর্মী ছাটাই হবে বলে জানিয়েছে টাটা কতৃপক্ষ। টাটা'র দাবি, "খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে টেলিকম মার্কেট। বাজারি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এই সিদ্ধান্ত একটি কৌশল মাত্র"।



ভারতের সর্বমোট মোবাইল সাবস্ক্রিপশনের ৪.৪ শতাংশ মার্কেট শেয়ার টাটার দখলে। ট্রাইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ পর্যন্ত গোটা ভারতে টাটা মোবাইলের সাবস্ক্রিপশনের সংখ্যা ৫১.২ মিলিয়ন। GSM, CDMA এবং ৩জি পরিষেবাতেও একটা বৃহৎ সংখ্যক মানুষের ভরসা ছিল টাটা টেলিকম। এখন অনেকের মধ্যেই এই প্রশ্ন, ব্যবসা থাকা সত্বেও কেন কর্মী ছাটাইয়ের মত সিদ্ধান্ত নিল টাটা? টেলি কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞরা টাটার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পিছনে জিও'কেই দূষছেন।