নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমান সময়ে একজন মানুষের যাবতীয় তথ্য তাঁর ফোনেই থাকে। তাই ফোন হারালে কেবলমাত্র আর্থিক ক্ষতিই হয় না, ব্যক্তিগত তথ্যও হতে পারে চুরি। আপনার ফোন থেকেই পাওয়া যেতে পারে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-এর হদিশ। ফলে থাকে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেই দিকে নজর রেখেই এ বার চুরি হওয়া ফোন ব্লক করতে বিশেষ পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রক। ফোন চুরি হলে সেই ফোনের IMEI নম্বর থেকে ব্লক করে দেওয়া হবে ফোনটি। এর ফলে ফোন চুরি করা ব্যক্তি সেই ফোনটি আর ব্যবহার করতে পারবে না।


বাজারে বিক্রি হওয়া প্রতিটি ফোন-এ একটি ১৫ সংখ্যার বিশেষ নম্বর থাকে। এই নম্বরটিকে বলা হয়, International Mobile Equipment Identity নম্বর বা সংক্ষেপে IMEI নম্বর। প্রতিটি ফোনের ক্ষেত্রে এই নম্বর আলাদা হয়। এই বিশেষ নম্বরটি ব্যবহার করেই কোনও চোরাই ফোন বা অপরাধীর ফোনকে ট্র্যাক করতে পারে টেলিকম সংস্থা।


আরও পড়ুন: প্রয়োজন ও ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী আপনার জন্য সঠিক কোন বাইক? দেখে নিন


এই বার এই IMEI নম্বর ব্যবহার করেই ফোন সম্পূর্ণভাবে ব্লক করার প্রক্রিয়া চালু করতে চাইছে টেলিকম মন্ত্রক। এই নতুন ব্যবস্থায় ফোন চুরি হলে প্রথমে পুলিস-এ রিপোর্ট করতে হবে। তার পরে টেলিকম বিভাগ-কে চুরি যাওয়া ফোন-এর IMEI নম্বর জানাতে হবে। টেলিকম বিভাগ থেকে সেই IMEI নম্বরকে ব্লক করে দেওয়া হবে। এর ফলে সেই ফোন থেকে কোনও ডেটা অ্যাকসেস করা যাবে না। আপনার তথ্য থাকবে সুরক্ষিত।


টেলিকম বিভাগের কাছে তিন ধরনের IMEI নম্বরের তালিকা আছে। সেই তালিকা অনুযায়ী, হোয়াইট লিস্ট-এর অন্তর্গত মোবাইল ফোনগুলি ব্যবহার করা যাবে। ব্ল্যাকলিস্ট-এর ফোনগুলি ব্যবহার করা যাবে না। গ্রে লিস্ট-এর ফোনগুলি থাকবে সচল কিন্তু নজরদাড়ির আওতায় থাকবে।


খুব শীঘ্রই এই ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে টেলিকম মন্ত্রক। এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে ফোন ফেরত পাওয়া যাবে কিনা সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি টেলিকম মন্ত্রক। মনে করা হচ্ছে, এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ফোন চুরির প্রবণতা কমবে। কারণ ব্লক করে দেওয়ার পর কার্যত অকেজো হয়ে যাবে সেই ফোন। ফলে, চোরাই বাজারে সেই ফোন-এর কোনও মূল্য থাকবে না। তা ছাড়া, এর ফলে সুরক্ষিত থাকবে ব্যক্তিগত তথ্য। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই এমন পদক্ষেপ।