নিজস্ব প্রতিবেদন: টেসলার সিইও এলন মাস্ক কোভিড পরবর্তী সময় তাঁর কর্মীদের অফিসে আসার নির্দেশ দেন। তিনি জানান কর্মীরা অফিসে না এলে তাদের চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরেই বিভিন্ন কর্মীরা অফিসে আসা শুরু করেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অফিসে এসেই শুরু হয় সমস্যা। কর্মীরা অফিসে এসে দেখেন তাদের বসার জায়গা অথবা গাড়ি রাখার জায়গা নেই। শুধু তাই নয় অফিসের ওয়াই-ফাইও ঠিক করে কাজ করছিলনা বলে জানা গিয়েছে। 


অফিসের অবস্থা দেখে বোঝা যায় প্যান্ডেমিকের দুই বছর পরে কর্মীদের ফিরিয়ে আনলেও, এলন মাস্কের অফিস কর্মীদের সেখানে কাজ করার উপযুক্ত অবস্থায় ছিলনা। 


কভীডের কারনে প্রায় দুই বছর বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা বাড়ি থেকেই কাজ করেন। যদিও প্যান্ডেমিক কমতেই টেসলার মত বিভিন্ন সংস্থা তাদের কর্মীদের অফিসে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়।


জানা গিয়েছে, টেসলার যেসব কর্মীরা ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্টের অফিসে ফিরে আসেন তারা অভিযোগ করেন যে সেখানে তাদের জন্য বসার জায়গা ছিল না এবং তাঁরা গাড়ি রাখারও জায়গা পাননি। একইসঙ্গে তাদেরকে খারাপ ওয়াইফাই-এর মোকাবেলা করতে হয়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে লজিস্টিক ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ম্যানেজাররা তাদের কর্মচারীদের  বাড়ি থেকে কাজ চালিয়ে যেতে বলে।


আরও জানানো হয়েছে যে টেসলার কর্মীসংখ্যা দুই বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে ৯৯,২১০ জন কর্মী রয়েছে। এর আগে ব্লুমবার্গ আয়োজিত কাতার ইকোনমিক ফোরামে, মাস্ক বলেন যে টেসলা আগামী তিন মাসের মধ্যে তার কর্মীদের প্রায় ১০ শতাংশকে ছাঁটাই করবে। গত দুই বছরে টেসলায় অতিরিক্ত নিয়োগের ফলে ডেস্ক সমস্যা তৈরি হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Flying Car: ৫ মিনিটেই হয়ে যান পাইলট! ৬৫ লাখের গাড়িতে উড়ুন আকাশে, দেখে নিন ভিডিও


মাস্ক এর আগে বলেন যে বাড়ি থেকে কাজ আর গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি ইমেলে জানিয়ে দেন যে কর্মচারীরা অফিসে ফিরতে চান না তারা চাকরি ছেড়ে দিতে পারেন। 


তিনি টেসলার কর্মীদের জন্য সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ বাধ্যতামূলক করেছেন। মাস্ক একটি ইমেলে জানিয়েছেন "বাড়ি থেকে কাজ আর গ্রহণযোগ্য নয়", "যারা বাড়ি থেকে কাজ করতে চায় তাকে অবশ্যই প্রতি সপ্তাহে ন্যূনতম ৪০ ঘন্টা অফিসে থাকতে হবে বা টেসলা ত্যাগ করতে হবে।"  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)