নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে Tiktok বন্ধ হওয়ার পর এবার অন্য প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার কথা ভাবছেন টিকটকাররা। অনেক টিকটকারই তাই তাঁদের ফলোয়ারদের ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে ফলো করতে আর্জি জানাচ্ছেন গতকালের ঘোষণার পর থেকে। একই সঙ্গে চিনা অ্যাপ বয়কটের সিদ্ধান্তকেও সমর্থন জানিয়েছেন বেশ কিছু জনপ্রিয় টিকটকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অ্যাপের মধ্যেই বিল্ট ইন এডিটিং। ১৫ সেকেন্ডের ভিডিয়ো। আর পর পর সাজেস্ট হতে থাকা টাইমলাইন। এসব কারণেই টিকটকে কোনও ভিডিয়োর রিচ সাধারণভাবে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের তুলনায় কিছুটা হলেও বেশি। সেই রিচের উপর ভিত্তি করেই ভারতের বেশ কিছু টিকটকারের ছিল লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার। এমন কি বেশ কিছু টিনএজার টিকটকারের কোটির উপরেও ফলোয়ার ছিল। 


টিকটক বন্ধ হওয়ার ঘোষণায় তাঁরা যে বেশ সমস্যায় পড়েছেন তা বলাই যায়। কারণ এই বিপুল ফলোয়ার ব্যবহার করেই তাঁরা ভিডিয়ো মনেটাইজ করতেন, স্পনসর পেতেন। এবার সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অন্য প্ল্যাটফর্মে মুভ করার কথা ভাবছেন তাঁরা। সমমানের কোনও ভারতীয় অ্যাপে সম্ভবত কন্টেন্ট তৈরির পরিকল্পনা তাঁদের।


এক জনৈক জনপ্রিয় টিকটকারের কথায়, "আগে থেকেই ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে ভিডিয়ো পোস্ট করতেন টিকটকাররা। কিন্তু, রিচ বেশি হওয়ায় টিকটকেই মূল ভিডিয়ো পোস্ট করতেন সকলেই।" এবার সেই পন্থা বদল করতে হবে বলেই মনে করছেন তিনি। যতদিন না সমমানের ভারতীয় অ্যাপ জনপ্রিয় হয়, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মাধ্যমে অ্যাক্টিভ থাকার পরিকল্পনা তাঁদের।


স্পনসরশিপ পেতে ও ছবি পোস্টের মাধ্যমে ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেই মূলত ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতেন টিকটকাররা। এবার সেই প্ল্যাটফর্মেই ভিডিয়ো পোস্ট করার কথা ভাবছেন তাঁরা।


তবে, এক্ষেত্রে এডিটিংয়ে হতে পারে সমস্যা। কারণ ইউটিউব বা ইনস্টাগ্রামে টিকটকের মতো ইউজার ফ্রেন্ডলি ও অনেক ফিচারসহ এডিটিংয়ের অপশন নেই। 


কীভাবে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ফলো করা যাবে সেই নিয়ে টিউটরিয়াল বানানোও শুরু করেছেন তাঁরা। #TikTokBan হ্যাশট্যাগ দিয়ে ভিডিয়ো পোস্ট করছেন তাঁরা। আপাতত টিকটক প্লে স্টোরে ডাউনলোড বন্ধ হয়ে গেলেও যাঁদের ডাউনলোড করা আছে তাদের এখনও চলছে এই অ্যাপ।