নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের আইনকে সম্মান করা উচিত, কেন্দ্রের কড়া বার্তা টুইটারকে। বুধবার ভারত সরকার টুইটার সম্পর্কে প্রবল অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। কারণ, যতগুলি অ্যাকাউন্ট চিন্থিত করে দেওয়া হয়েছিল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য, তা সব কটি বন্ধ করেনি টুইটার। সরকারি হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করায় বিপাকে পড়তে পারে এই জায়েন্ট সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন মন্ত্রক থেকে জানান হয়েছে, "আইনসম্মতভাবে দেশের আইন শৃঙ্খলা যে কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক। বাইরে থেকে ব্যবসা করতে এলে তাঁকে ভারতের আইন মেনে চলতে হবে। যদি তা না মানে বা এর জন্য সময় নেয় তবে তা অর্থহীন এবং কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"


গত মাসে  ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে হিংসার পরে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার পদক্ষেপকে উদ্ধৃত করে সরকার টুইটারকে জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে এই বৈষম্যমূলক আচরণ গভীর হতাশার। 


ইলেক্ট্রনিক্স-তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এবং টুইটারের প্রতিনিধিদের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন টুইটারের মনিখ মেহে, ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্লোবাল পাবলিক পলিসি এবং জিম বেকার, ডেপুটি জেনারেল কাউন্সেল এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট লিগ্যাল। বৈঠকের পরকৃ ষক আন্দোলন নিয়ে সরকার বিরোধী, ‘খলিস্তানপন্থী’ এমন ১২০০ টুইটার হ্যান্ডেলকে বন্ধ করার জন্য টুইটার কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্র।  


এর উত্তরে টুইটার জানায়, সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমের কর্মী, সমাজকর্মী এবং রাজনীতিবিদদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হবে না। টুইটার কেন্দ্রকে স্পষ্ট জানিয়েছে, বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করে ভারতীয় আইনের মধ্যে থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। 


এরপর  টুইটার কর্তপক্ষ চাইলেও, ইলেক্ট্রনিক্স-তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ দেখা দেখা করতে চান না । বাতিল করে দেন বৈঠক। ওয়াকিবহামহল মনে করছে,অ্যাকাউন্ট প্রত্যাহার না  করায় খেসারত দিতে হতে পারে টুইটারকে। টুইটার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে কেন্দ্র। 


প্রসঙ্গত, #FarmerGenocide সহ ২৫৭টি  অ্যাকাউন্ট সরকার বিরোধী টুইট করেছে। এর মধ্যে ১২৬টি অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছে। বন্ধ করেছে ৫৮৩টি অ্যাকাউন্ট।