নিজস্ব প্রতিবেদন: গর্ভধারণ রোধে রয়েছে বিভিন্ন জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। যেমন, কন্ডোম, বিভিন্ন জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ, জেল ইত্যাদি। কিন্তু তা বলে জন্মনিয়ন্ত্রণ করবে স্মার্টফোনের অ্যাপ! হ্যাঁ, চমকে দেওয়ার মতো হলেও এ খবর সত্যি। জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে স্মার্টফোন অ্যাপের ব্যবহার একেবারেই নতুন। সম্প্রতি লাইভ সায়েন্স-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) সম্প্রতি এমনই একটি অ্যাপের অনুমোদন দিয়েছে। অ্যাপটির নাম, ‘ন্যাচারাল সাইকেলস’।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী ভাবে কাজ করে এই ‘ন্যাচারাল সাইকেলস’?


মূলত, এই অ্যাপ হিসেব করে দেখে জানিয়ে দেয়, মাসের কোন দিনগুলোতে ব্যবহারকারীর গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ওই দিনগুলোতে ব্যবহারকারীকে যৌনতা থেকে বিরত থাকতে বা জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি (যেমন কনডম, জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ) ব্যবহার করতে নির্দেশ করে।


আরও পড়ুন: পুত্র না কন্যা? জবাব দিচ্ছে ব্রিটিশ গবেষণা


এই অ্যাপ ব্যবহারের জন্য প্রতিদিন সকালে মহিলাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপতে হয় একটি থার্মোমিটার দিয়ে এবং সেই তাপমাত্রা ওই অ্যাপে লিখতে হয়। ওভুলেশন বা ডিম্বপাতের সময়ে মহিলার শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। সেটাই ওই অ্যাপ ধরতে পারে। এই তথ্য এবং মহিলার মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলের কিছু তথ্য ব্যবহার করে অ্যাপটি বুঝতে পারে সে দিন ব্যবহারকারীর শরীর উর্বর কিনা বা গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত কিনা। সাধারণত প্রতি মাসে মাত্র চার থেকে পাঁচ দিন একজন মহিলার শরীর গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত বা উর্বর থাকে।



তবে জন্মনিয়ন্ত্রণের কোনও একটি পদ্ধতিই আদতে নিখুঁত নয়,  জানিয়েছেন এফডিএর কর্মকর্তা ড. টেরি কর্নেলিসন। তাই এই অ্যাপটি সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করলেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকতে পারে।


আরও পড়ুন: ঘুমের ওষুধ নয়, পাতে রাখুন এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন বিকল্পগুলিকে


অ্যাপটির কার্যকারিতার বিষয়ে এফডিএ-র বাইরের বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কারণ, এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে তাঁরা মনে করেন।


‘ন্যাচারাল সাইকেলস’ অ্যাপটি ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী মহিলাদের ব্যবহার করতে বলা হয়। যাঁরা হরমোনাল বার্থ কন্ট্রোল ব্যবহার করছেন বা যাঁদের গর্ভধারণ করলে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে, তাঁদের এই অ্যাপ ব্যবহারে নিষেধ করা হয়েছে।


‘ন্যাচারাল সাইকেলস’ অ্যাপটি জন্ম নিরোধক পিলের মতোই কার্যকরী। অর্থাৎ, এটি ব্যবহারের পরেও ৯ শতাংশ ক্ষেত্রে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থেকেই যায়। ইউরোপে ইতোমধ্যেই এই অ্যাপটি অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং সুইডেনে এই অ্যাপের কার্যকারীতা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। কারণ, সুইডেনে ৩৭ মহিলা অভিযোগ করেন, এই অ্যাপ ব্যবহারের পরেও গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন তাঁরা। আরও কিছুটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে আরও নির্ভুল হতে হবে ‘ন্যাচারাল সাইকেলস’। তবে বিশেষজ্ঞদের মত, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অসংখ্য মানুষের নির্ভরশীলতা অর্জন করবে ‘ন্যাচারাল সাইকেলস’।