নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের দাবিকে পাত্তাই দিল না হোয়াটস অ্যাপ। ফলে ভারতে এই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে বিতর্ক থেকেই গেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোনও মেসেজের উৎস কোথায় তা খোঁজার জন্য একটি রাস্তা উদ্ভাবন করতে হোয়াটস অ্যাপকে বলেছিল কেন্দ্র। সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে হোয়াটস অ্যাপ। সোশাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে ওই ধরনের কোনও পদ্ধতি বাতলে দিলে তাতে হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হবে।


আরও পড়ুন-মোদীর জমানায় বাড়ছে বেকারত্ব, ‘আইসিস’ প্রসঙ্গ তুলে বিতর্কে রাহুল


ফেসবুক-এর মালিকানাধীন হোয়াটস অ্যাপ মনে করে মানুষজন হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে বহু ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদানপ্রদান করে। তাই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। কোনও মেসেজের উৎস খুঁজে দেওয়া ‌যাবে না।


হোয়াটস অ্যাপ এর এক মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, কোনও মেসেজের উৎস খুঁজে বের করার পদ্ধতি চালু করে দেওয়া প্র‌যুক্তি আনলে তা এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ও হোয়াটস অ্যাপের মধ্যে ‌যে ব্যক্তিগত ব্যাপারটা রয়েছে তাতে নষ্ট হয়ে ‌যাবে।


আরও পড়ুন-বড়দের ‘ডিজিটাল রাজনীতির’ পাঠ পড়াবেন অভিষেক


উল্লেখ্য, ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য কয়েক মাস আগে হোয়াটস অ্যাপের বিরুদ্ধে অভি‌যোগ উঠেছিল। বিশেষ করে গণপিটুনির ক্ষেত্রে হোয়াটস অ্যাপের একটি বড় ভূমিকা থাকার অভি‌যোগ উঠেছিল। এই প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে গুজব ছড়ানোর অভি‌যোগ উঠছিল। তার পরই সক্রিয় হয়ে ওঠে কেন্দ্র।


গত সপ্তাহেই হোয়াটস অ্যাপের প্রধান ক্রিস ড্যানিয়েল কেন্দ্রীয় তথ্য প্র‌যুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। ওই সাক্ষাতের পর প্রসাদ ঘোষণা করেন, হোয়াটস অ্যাপ কর্তৃপক্ষকে মোসেজের উৎস খোঁজার একটি প্র‌যুক্তি উদ্ভাবন করার কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভি‌যোগ নেওয়ার জন্য একটি সেলও খুলতে বলা হয়েছে। কিন্তু বুধবার স্পষ্ট হয়ে গেল ‌যে হোয়াটস অ্যাপ কেন্দ্রের কথা মানতে রাজি নয়।