ওয়েব ডেস্ক: রানসামওয়্যার, ওয়ানাক্রাই এই শব্দগুলো বিগত আটচল্লিশ ঘন্টায় প্রায় সকলেরই মুখে মুখে অচেনা ত্রাস হয়ে ঘুরছে। ইতিমধ্যেই খবর হয়ে গেছে যে, ১৫০ দেশের ২ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্থের মধ্যে ভারতেরও বেশ কিছু সংস্থার নথি অপহৃত। কিন্তু জানেন কি, যারা এই কুকর্মটি করছেন অর্থাত্‍ 'ওয়ানাক্রাই' তারা আসলে কি চাইছে? উত্তর, অবশ্যই- অর্থ। তবে, এই অর্থমূল্য টাকা বা ডলার বা পাউন্ড বা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা মূল্যবান ধাতু এসবের মাধ্যমে চোকানো যাবে না। চোকাতে হবে 'বিট কয়েনে'র দ্বারা। কিন্তু এই 'বিট কয়েন' বস্তুটি কী? কেনই বা এটা চাইছে তারা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৮ সালে নাকামোতো আবিষ্কৃত বিট কয়েন আসলে চাওয়া হচ্ছে 'সুরক্ষা'র জন্য। কারণ, বিট কয়েনের মাধ্যমে লেনদেন হলে সেই মূল্য কে দিচ্ছে এবং কে পাচ্ছে তার কোনও হদিসই থাকে না। বিট কয়েন হল এক ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি যা এনক্রিপশন পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি হয়, এই প্রক্রিয়াটিকে 'মাইনিং' বলা হয় যা মূলত করে থাকেন কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা। প্রোগ্রামার মহলে গোটা বিষয়টিকে 'রিওয়ার্ড' হিসাবেই দেখার চল রয়েছে।




বিট কয়েনের দাম কত?
বর্তমানে একটি বিট কয়েনের মূল্য ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা। কিন্তু মোটেই এত দামী ছিল না এই এনক্রিপ্টেড ডিজিটাল কয়েন। বলতে গেলে গত বছরের তুলনায় এর দাম বেড়েছে চতুর্গুণ। ২০১৬ সালে একটি বিট কয়েনের দাম ছিল- ৩০ হাজার ৬৬০ টাকা, আর ২০১৫-তে এর দাম ছিল আরও কম, মাত্র ১৪ হাজার ৩১৫ টাকা।


দুনিয়ায় বিট কয়েনের মোট সংখ্যা কত?
মোট ২১ মিলিয়ন বিট কয়েন রয়েছে এবং এই সংখ্যাটা ধ্রুবক। ফলে, দুনিয়া জোড়া লেনদেনের হদিস রাখতে না চাওয়া কারবারিদের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনে বিট কয়েনের দাম বাড়ছে হু হু করে।


বিট কয়েন সংক্রান্ত নাকামোতোর নিজস্ব পেপার পড়ুন এইখানে ক্লিক করে।