ওয়েব ডেস্কঃ মাত্র ২৫১ টাকায় স্মার্টফোন। অবাক করা এই কাণ্ড ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে। বিশ্বের সবথেকে সস্তা স্মার্টফোন নিয়ে এ পর্যন্ত নানা খবরও লেখা হয়ে গেছে। জানা হয়ে গিয়েছে এই ফোনে কি কি আছে, কিভাবে কেনা যাবে, কি কি নেই, এরকম প্রায় সব তথ্যই। কিন্তু এখনও যা জানা হয়নি তা হলো কি করে ঘটল এতবড় ঘটনা। সবার মাথাতেই এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে যে কি করে এত কম দামে স্মার্টফোন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফ্রিডম ২৫১-এ যেসব ফিচার্স রয়েছে সেই অনুযায়ী তার দাম অন্তত কয়েক হাজার টাকা হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি করে ফ্রিডম ২৫১ বাজারে এনেছে রিংগিং বেলস। কিন্তু কিসের ওপর নির্ভর করে এই দুঃসাহসিক পদক্ষেপ? এইসব কৌতুহলের অবসান ঘটালেন রিংগিং বেলস-এর প্রেসিডেন্ট অশোক চাড্ডা। গতকাল ফ্রিডম ২৫১ লঞ্চের পর অশোক চাড্ডা জানান যে, ‘ইকনোমিজ অফ সেলস’-র তত্ত্বে ভর করেই তিনি এত বড় বিপ্লব ঘটিয়েছেন। ‘ইকনোমিজ অফ সেলস’ অনুযায়ী উৎপাদনের সংখ্যা যত বাড়তে থাকে তত কমতে থাকে খরচ। তাই এই পদ্ধতিতে সহজেই অল্প দামে বেশি জিনিস দেওয়া যায়। তবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর এই তত্ত্ব অবশ্য আর ফল দেয় না। সুতরাং ‘ইকনোমিজ অফ সেলস’ যেমন সুবিধাজনক তেমন বিপদজনকও। সাধারণত মাইক্রোসফট, ইন্টেলের মতো কিছু বড় সংস্থা তাদের বিশেষ কিছু প্রোডাক্টের জন্য ‘ইকনোমিজ অফ সেলস’ ব্যবহার করে। এছাড়াও ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ জিনিসের ব্যবহার এবং শুধুমাত্র অনলাইনে বিক্রি, এগুলোও প্রোডাক্ট কস্ট অনেকটা কমিয়েছে। ভারতে তৈরি জিনিস ব্যবহারের ফলে খরচ কমেছে ১৩.৮ শতাংশ। তবে এত কম দামে স্মার্টফোন দিতে পারার পিছনে কোনওভাবেই যে কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের ভর্তুকি নয়, তা স্পষ্ট করে দেন রিংগিং বেলস-এর প্রেসিডেন্ট।


বিশ্বের সবথেকে সস্তা স্মার্টফোন নিয়ে যেমন উচ্ছাসের কারণ রয়েছে তেমনই চিন্তারও কারণ রয়েছে। ফ্রিডম ২৫১-এর ব্যপারে সবকিছু জানা হয়ে গেলেও জানা নেই এই ফোন ব্যবহার কতটা নিরাপদ। ফ্রিডম ২৫১ বিআইএস সার্টিফায়েড নয়। এমনকি বিআইএস তালিকাভুক্তও নয়। তাই ২৫১ টাকায় স্মার্টফোন কেনার আগে একটু ভেবে নেওয়া ভালো।