ওয়েব ডেস্ক: মাউস। কম্পিউটার সিস্টেমে মাউস এমন এক 'যন্ত্র' যা ছাড়া কার্যত দুনিয়া অচল। একটা ক্লিক আর পৌঁছে যাওয়া সেখানে, যেখানে মন চায়। দুই বোতামের সঙ্গে একটি স্ক্রল হুইল যাকে তৃতীয় বোতামও বলা যায়-যার কাজ মূলত কম্পিউটার স্ক্রিনে ঘুরে বেড়ানো আর পছন্দের জায়গায় ক্লিক করা। তা, এই যন্ত্রের নাম কেন মাউসই হল?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অদ্ভূত এই যন্ত্রটির আবিস্কারক ডগলাস এঞ্জেলবার্গ। তাঁর জন্ম হয়, ১৯২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি পোর্টল্যানেড। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে তিনি একাধারে যেমন একজন গবেষক, তেমনই একজন উদ্ভাবকও। তাঁকে ইন্টারনেট পায়োনিয়ারও বলা হয়।


মাউসের নাম প্রথমেও কি মাউস ছিল? না। তার নাম ছিল কম্পিউটার পয়েন্টিং ডিভাইস। বিল ইংলিশ প্রকাশনায় ১৯৬৫ সালে মাউস মানে ছিল- "Computer-Aided Display Control"। দ্য আমেরিকান অভিধানের পঞ্চদশ এডিশনে প্রথম মাউসের এন্ট্রি হয়।


মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়, সেই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন যে, বিগ ইংলিস নামে এক গবেষক যখন হার্ডওয়্যার ডিজাইন করছিল, তখন তারের সংযোগে ছোট্ট ডিভাইসটিকে ইঁদুরের মতো দেখতে লাগছিল। তখনই গবেষণাগারে মাউসের মতো দেখতে বলে মাউস নামটা মুখে মুখে রটে যায়। সেই থেকেই মাউসের নাম মাউস হয়ে যায়।


এটা আর নতুন করে বলে দেওয়ার দরকার নেই, মাউস অর্থাৎ ইঁদুরের মত আকৃতি এই যন্ত্রটির। তারটা কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত থাকে, যাকে বলা যায় ইঁদুরের লেজ। অবশ্য এখন তারবিহীন মাউসের চলই বেশি। কিন্তু প্রথমে এমনটা হত না।



১৯৬৮ সালে প্রথম 'বল-বেসড' মাউস তৈরি করা হয়। পরে তার বিবর্তন হতে হতে একেবারে আধুনিক পর্যায়ে এসেছে মাউস। সিঙ্গল ক্লিক, ডবল ক্লিক, ট্রিপল ক্লিক, রাইট ক্লিক, লেফট ক্লিক, ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ ছাড়াও নানান কাজে মাউস ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটার সিস্টেমে প্রথম পরীক্ষামূলক মাউস ব্যবহারে সফল হল বিজ্ঞানী ডগলাস এঙ্গেলবার্ট। পরে তাঁর আবিষ্কারের ভিত্তিতেই তৈরি হয় আধুনিক মাউস।