বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ১০টি ব্র্যান্ড
সারা বিশ্বে ব্র্যান্ড তো প্রচুর রয়েছে। রয়েছে তাদের নানারকম ভ্যালুও। কিন্তু সারা পৃথিবীতে কোন ব্র্যান্ড কত নম্বরে আর তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালুই বা কত এবার তা দেখে নেওয়া যাক।
ওয়েব ডেস্ক: সারা বিশ্বে ব্র্যান্ড তো প্রচুর রয়েছে। রয়েছে তাদের নানারকম ভ্যালুও। কিন্তু সারা পৃথিবীতে কোন ব্র্যান্ড কত নম্বরে আর তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালুই বা কত এবার তা দেখে নেওয়া যাক।
১০) ওয়েলস ফার্গো- বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে ১০ নম্বরে রয়েছে ওয়েলস ফার্গো কোম্পানিটি। এটি আমেরিকার একটি মাল্টিন্যাশনাল ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড ফিনানশিয়াল হোল্ডিং কোম্পানি। বিশ্বের বাজারে এই কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু ৪৪ বিলিয়ন ইউএসডি। মার্কেট ভ্যালুর দিক থেকে এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক। আর তাই এর ব্র্যান্ড ভ্যালুও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৯) চায়না মোবাইল- এখন বেশিরভাগ মানুষের হাতে হাতে যে মোবাইল দেখা যায় তা অবশ্যই চায়না মোবাইল। সারা বিশ্বে এর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যাটা নেহার কম নয়। ৮০৬ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার নিয়ে চায়না মোবাইল কোম্পানি বিশ্বের সর্ববৃহত্ মোবাইল ফোন অপারেটর। আর তাই বিশ্বের মূল্যবান ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে এর স্থান ৯ নম্বরে। এর ব্র্যান্ড ভ্যালু ৪৯ বিলিয়ন ইউএসডি।
৮) ওয়ালমার্ট- আমেরিকার মাল্টিন্যাশনাল রিটেল কর্পোরেশন এই ওয়ালমার্ট। ২০১৪-এর পরিসংখ্যানে এর কর্মী সংখ্যা ২.২ মিলিয়ন নিয়ে একে বিগেস্ট প্রাইভেট এমপ্লয়ার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। ওয়ালমার্ট আসলে ওয়ালটন পরিবারের ব্যবসা। বংশ পরম্পরায় তাঁরা এই ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সারা পৃথিবী জুড়ে ব্যবসা করে ওয়াল মার্ট। এদের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৫৩ বিলিয়ন ইউএসডি।
৭) অ্যাট অ্যান্ড টি- ৫৯ বিলিয়ন ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে বিশ্বের মূল্যবান ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে ৭ নম্বরে রয়েছে আমেরিকার এই মাল্টিন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন কর্পোরেশন। টেক্সাসের তৃতীয় বৃহত্তম কোম্পানি অ্যাট অ্যান্ড টি। সারা বিশ্বে এর অন্তর্গত ১৮টি মোবাইল টেলিকম অপারেটর রয়েছে। যা নিয়ে এর গ্রাহক সংখ্যা ১২৮.৬ মিলিয়ন।
৬) ভেরাইজন- আমেরিকার ব্রডব্যান্ড আর টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলির মধ্যে ভেরাইজন সর্ববৃহত্। আর তাই এর ব্র্যান্ড ভ্যালুও ৬৩ বিলিয়ন ইউএসডি। ৩২ বছর ধরে বিশ্বের বাজারে একইভাবে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে এই কোম্পানি।
৫) মাইক্রোসফট- মাইক্রোসফটের নাম আজ আমাদের কাছে অতি পরিচিত। এটি আমেরিকার একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি। কম্পিউটরের যাবতীয় সফটওয়্যার তৈরি করে এই কোম্পানি। বহু বছর ধরে বিভিন্ন নতুন নতুন সফটওয়্যার তৈরি করে আসছে এরা। আর তাই এদের ব্র্যান্ড ভ্যালুও ইর্ষনীয়। ৬৭ বিলিয়ন ইউএসডি। গ্রাহকদের সফটওয়্যার থেকে শুরু করে অপারেটিং সিস্টেম সবই সবসময় আপডেটেড ভার্সন দিয়ে থাকে।
৪) অ্যামাজন- ইন্টারনেট বেসড রিটেলার কোম্পানিগুলির মধ্যে অ্যামাজন সর্ববৃহত্ কোম্পানি। এটি প্রধাণত আমেরিকার কোম্পানি হলেও এর ব্যবসা সারা পৃথিবী জুড়ে। গয়না থেকে খাবার, খেলনা থেকে আসবাবপত্র, সবই রয়েছে এর কাছে। অর্ডার করা মাত্র এরা পৌঁছে দেবে আপনার কাছে। এদের এই দ্রুত পরিষেবা এদের গ্রাহক সংখ্যা দিনের পর দিন ক্রমশ বাড়াচ্ছে। আর তাই এদের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৬৯ বিলিয়ন ইউএসডি ছুঁয়ে ফেলেছে।
৩) স্যামসং- দক্ষিণ কোরিয়ার মাল্টিন্যাশনাল কংগ্লোমারেট কোম্পানি স্যামসং। ১৯৩৮ সাল থেকে সারা বিশ্ব জুড়ে এদের ব্যবসা। বিশেষত মোবাইল এবং কিছু ইলেকট্রনিকস দ্রব্যও প্রস্তুত করে এই কোম্পানি। যদিও এরা মোবাইল কোম্পানি হিসেবেই বেশি পরিচিত। এর ব্র্যান্ড ভ্যালু ৮৩ বিলিয়ন ইউএসডি।
২) গুগল- ইন্টারনেট চালালেই আমরা সবার আগে যে ছবিটা দেখতে পাই সেটা গুগলের। যে কোনও কিছু জানতে চাওয়া হয় এর কাছে। এটিও আমেরিকার একটি মাল্টিন্যাশনাল টেকনোলজি কোম্পানি। ইন্টারন্ট এবং কম্পিউটর সফটওয়্যার নিয়েই এদের ব্যবসা। সারা বিশ্বের সমস্ত মানুষই এদের গ্রাহক। এদের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৯৪ বিলিয়ন ইউএসডি।
১) অ্যাপল- তবে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে যে ব্র্যান্ড শীর্ষে রয়েছে তা অ্যাপল। আমেরিকার এই মাল্টিন্যাশনাল টেকনোলজি কোম্পানি কম্পিউটর এবং মোবাইলের যাবতীয় জিনিস তৈরি করে। তবে এর ব্র্যান্ড ভ্যালু বাকি অন্য কোম্পানিগুলির তুলনায় একধাপে অনেকটাই এগিয়ে। ১৪৫ বিলিয়ন ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে এখকার সেরা ব্র্যান্ড অ্যাপল।