দীপঙ্কর চ্যাটার্জী, সিআইআই পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ বছর এমন একটা সময় গেল যাতে জিডিপি কমে যাচ্ছে। হিসাব করে দেখা গিয়েছে, জিডিপি কমছে প্রায় ৮ শতাংশের মতো। অথচ, অর্থনীতির সহজ নীতি বলছে, আয় বাড়াতে না পারলে দেশের অর্থনীতির গতি বাড়ে না। একটু ভেঙে বললে জিডিপি কমেছে মানে, সারা দেশে যে সম্পদটা তৈরি হয়েছিল, সামগ্রিক ভাবে সেটার ৮ শতাংশ কমেছে। 


তবে, তার মানে কিন্তু সকলের আয়ই ঝপ করে ৮ শতাংশ করে কমেছে তা নয়। কিছু লোকের আয় বেড়েছেও। তবে অধিকাংশ দেশবাসীরই আয় সাংঘাতিক রকম কমে গিয়েছে। এটাকে সামলানোই এ বারের বাজেটে (budget) সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মনে করি। 


এবং এই কমতিটাকে সামলাতে গেলে সরকারকে সাধারণ মানুষের হাতে প্রচুর টাকা পৌঁছে দিতে হবে। টাকা এলেই মানুষ খরচ করবে। মানে, সে জিনিসপত্র কিনতে পারবে। তখন অর্থনীতির চাকাটা ঘুরতে থাকবে। অর্থাৎ, সরকারকে খরচ করতেই হবে। 


Also Read: কীভাবে শক্তিশালী হবে ভারতীয় অর্থনীতি, ব্যাখ্যা মুখ্য উপদেষ্টার


প্রশ্নটা হল, কোন কোন খাতে খরচ করবে সরকার? মোটামুটি সহজ করে বলতে গেলে বলতে পারি, সরকারের এখনই উচিত হবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে খরচ বাড়ানো। স্বাস্থ্য়ে তো নানা জিনিসের অভাব আছে। টাকার অভাবেই 'নিও-এডুকেশন' পলিসি কার্যকর করা  যাচ্ছে না বলে শুনেছি। সুতরাং, এ দু'টি খাতে খরচ দরকার। আর খরচ করতে হবে পরিকাঠামোয়। এ দেশে পরিকাঠামো এখনও অত্যন্ত দুর্বল। একটা খুব চেনা উদাহরণ দিই। আমাদের এখানে চাষিরা তো খুব ভাল ফসল ফলান। কিন্তু সেই পরিশ্রমের উপযুক্ত দাম পেতে গেলে ফসল নিয়ে তাঁদের বাজারে পৌঁছে যেতে হবে। অথচ এ দেশে এখনও বহু জায়গায় ঠিকঠাক রাস্তাঘাটই নেই। তাহলে চাষিরা ফসল নিয়ে যাবেন কোথায়? ফলে, আমি বলব, অন্তত এই তিন ক্ষেত্রে আগে প্রচুর পরিমাণে খরচ করুক সরকার। আর একটা পরামর্শ, এবছরটা ট্যাক্স বাড়ানো চলবে না। 


একেবারে শেষে খুব ছোট করে বললে বলব, যে ঘাটতি চলছে সেটা বাড়তে দিতে হবে। ঘাটতি নিয়ে সরকারকে চিন্তা করলে চলবে না। বরং খরচা বাড়াতে হবে। আর তাতেই অর্থনীতির (economics) চাকাটা ঘুরতে শুরু করবে। 


Also Read: ঘিয়ের জন্য নির্ভয়ে ধার করতে হবে সরকারকে