এই বছরের নতুন চমক পার্ক স্ট্রিটের আদলে এখন থেকেই সেজে উঠছে শ্রীরামপুরের গির্জাগুলো। এলাকাজুড়ে আলোকসজ্জা। তুঙ্গে প্রস্তুতি। শ্রীরামপুর শহরের ৪০০ বছরের ইতিহাসকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে বড়দিনের উৎসব বা কার্নিভাল হবে।
পশ্চিমবাংলার ঐতিহ্যবাহী স্থান ব্যান্ডেল চার্চ, সেভাবে দেখতে গেলে বাংলায় নির্মিত প্রথম খ্রিষ্টান উপাসনাগৃহ। ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে প্রভু যীশুর জন্ম মুহূর্ত উদযাপিত হবে। রাত সাড়ে দশটা থেকে চলবে বিশেষ প্রার্থনা।
পর্যটন স্থান নয়, বরং তীর্থস্থান বলাই ভালো। কলকাতার মাদার হাউস একটি পবিত্র এবং শান্ত জায়গা যেখানে যে কেউ থাকতে পারে। মাদার হাউস হল মিশনারিজ অফ চ্যারিটির প্রধান কার্যালয় যা সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার দর্শককে টানে।
বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে আজাদের বাসভূমিই এখন মিউজিয়াম। তাঁর ব্যবহৃত চসমা, ব্যাগ, জামাকাপড়, লাঠি নানা ধরণের ছবি সংরক্ষিত আছে এখানে, রয়েছে ভারতরত্নের রেপ্লিকাও।
গুজরাটের স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ের একটি হিন্দু মন্দির। দক্ষিণ কলকাতার শহরতলির আমতলার কাছের এই মন্দির।
এবছরের অন্যতম আকর্ষণ কলকাতা চিড়িয়াখানা, মানুষ থাকবে খাঁচার মধ্যে পশুপাখি থাকবে খাঁচার বাইরে। উপভোগ করতে অবশ্যই যেতে হবে চিড়িয়াখানায়।
নিউটাউনের ডিয়ার পার্ক ওকটি মিনি জু বলে পরিচিত, এখানে আসতে চলেছে দুটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। শিলিগুড়ি থেকে আসা এই বেঙ্গল টাইগারগুলি দেখার জন্য ভিড় জমাবে মানুষ।
হাওড়া স্টেশনের কাছেই তৈরি হয়েছে রেল মিউজিয়াম। পুরনো দিনের রেল ইঞ্জিন থেকে আধুনিক রাজধানী এক্সপ্রেস সবকিছুই দেখতে পাবেন এই মিউজিয়ামে৷
নিউটাউনে প্রায় দুএকর জমির উপর তৈরি হচ্ছে রাজ্যের প্রথম এয়ারক্রাফট মিউজিয়াম। টিকিট কাটলেই ওঠা যাবে দু’হাজার কোটি টাকার যুদ্ধবিমানে৷ আস্ত একটা অ্যান্টি সাবমেরিন এয়ারক্রাফট দেখা মিলবে। আর খুব শীঘ্রই এই সুযোগ মিলবে কলকাতায়।
২১ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে চলবে ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল। ক্রিসমাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে অ্যালেন পার্কে। পার্ক স্ট্রিটের রাস্তা সেজে উঠবে আলো দিয়ে।