সান্তার জন্ম ধনী পরিবারে। তাঁর বাবা-মা দুজনেই প্লেগ রোগে মারা যান। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পদ দিয়ে তিনি খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার ও দারিদ্র দূর করার কাজে নেমে পড়েন।
২৭০সালে ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন।৩৪৩ সালের ৬ ডিসেম্বর অর্থাত্ তিনি ৭৩ বছর বয়সে মারা যান ।
ইউরোপে সান্তার খ্যাতি ছড়িয়েছিল মানুষের সেবার জন্য। এক সময় তাঁর কাহিনী অলৌকিক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল।
সান্তা ক্লজের বেশ কয়েকটি নাম আছে। সেন্ট নিকোলাস, সিন্টারক্লাস, ক্রিস ক্রিংল, ফাদার ক্রিসমাস, ক্রিসমাস ম্যান এবং গ্র্যান্ডফাদার ফ্রস্ট নামেও পরিচিত সান্তা।
সান্তা সারা বছর উত্তর মেরুতে থাকে। এখানেই সে তাঁর হরিণদের প্রশিক্ষণ দেন।
সান্তার ৯ টি হরিণের নাম ড্যাশার, ড্যানসার, প্রানসার, ভিক্সেন, কোমেট, কিউপিড, ডোনার, ব্লিটজেন এবং রুডলফ।
বড়দিনে শিশুদের আনন্দ দিতে রাতের অন্ধকারে তার বিশেষ পোশাক পরে উপহার দিতে বের হতেন। যাতে কেউ তাঁকে চিনতে না পারে।
সাদা দাড়ি, লাল সাদা টুপি, লাল পোশাক, আর তার সঙ্গে কাঁধে মস্ত বড় একটা ঝোলা নিয়ে সকলকে উপহার দিতে পাড়ি দেন সান্তা বুড়ো ওরফে সান্তা ক্লজ।
বড়দিনের আগের রাতটি পালন করা হয় ক্রিসমাস ইভ নামে। এই রাতেই স্লেজগাড়ি চেপে বাড়ি বাড়ি আসে সকলের প্রিয় সান্তা ক্লজ।
তবে শোনা যায়, সান্তা ক্লজের গল্প মোটেই কাল্পনিক নয়। চতুর্থ শতাব্দীর তুরস্কে সেন্ট নিকোলাস নামে এক ধনী অথচ দয়ালু ব্যক্তি ছিলেন।