প্যারাসিটামল-বাজার চলতি ক্রিম বাদ দিন! এবার ঘরোয়া টোটকাতেই পাবেন শীতকালের সুরাহা...

Rajat Mondal
Dec 24,2024

হালকা গরম জল খাওয়া

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম জল খাওয়ার অভ্যাস রাখতে হবে। সম্ভব হলে সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে মধু এবং পাতিলেবুর রস। এর ফলে খুসখুসে কাশি এবং গলা ব্যথার সমস্যা কমে যাবে নিমেষেই।

গরম জল মিশিয়ে স্নান

শীতের রোদেলা দুপুর হোক কিংবা ভোরের কনকনানি ঠাণ্ডা, জল থাকে সবসময়ের জন্যই ঠাণ্ডা। একদম ঠাণ্ডা জলে স্নান না করে, সামান্য গরম জল মিশিয়ে নিয়ে স্নান করলে যাঁদের ঠাণ্ডা লাগার ধাত তাঁদের অনেকটাই উপকার হবে।

লবঙ্গ মুখে রাখা

কশির সমস্যায় খেতে পারেন লবঙ্গ তবে বেশি খেলে হতে পারে পেট গরম। বাড়ির বাইরে বেরোলে বিশেষ করে সতর্ক থাকুন। একেবারেই ঠাণ্ডা লাগালে চলবেনা। কাশির সমস্যায় খেতে পারেন লবঙ্গ।

শরীর হাইড্রেটেড রাখা

সঠিক পরিমাণে অবশ্যই জল খাওয়া প্রয়োজন। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। এমনিতেই শীতের মরসুমে আবহাওয়া রুক্ষ এবং শুষ্ক। তাই জল খাওয়ার দিকে নজর রাখতে হবে এতে ত্বকের সমস্যা থেকেও উপকার পাওয়া যাবে।

রুমাল ব্যবহার

যেই রুমাল ব্যবহার করা হবে তা অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে বিশেষ করে যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাঁরা অতিরিক্ত সতর্ক রাখা দরকার।

চিকিৎসকের পরামর্শ করা

ওষুধের দোকান থেকে জেনে বা নিজের মতো কোনও ওষুধ না খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্যে মঙ্গলজনক। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ঠাণ্ডা জল বা আইসক্রিম

একে শীতের মরসুম তার ওপর যদি শরীরকে ব্যস্ত করতে না চান তাহলে ঠাণ্ডা জল, আইসক্রিম শীতের মরসুমে এড়িয়ে চলাই ভালো। বিশেষ করে যাঁদের ঠাণ্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা এই ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

ময়শ্চারাইজার এবং স্ক্রাব একসঙ্গে

নিয়মিত ভাবে ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে। একই সঙ্গে স্ক্রাব করাও প্রয়োজন কারণ শীতের দিনে প্রচুর ধুলো ওড়ে চারপাশে তা ময়শ্চারাইজারের ওপর লেগে ব্রন হবার সম্ভাবনা বাড়ে। শীতের মরসুমের শুরু থেকেই খুব ভালোভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

ছোলা

ছোলা শীতকালে ত্বকতে হাইড্রেটেড এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। শীতে নানা রকমের সংক্রমণের হার বাড়ে। এইসব রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো উচিত। তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়া এবং মাঝে মাঝে বৃষ্টির কারণেও শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় খাবারের ওপর বিশেষ করে নজর দেওয়া উচিত।

গুড়, ঘি, ঘরে তৈরি মাখন

শীতে অনেকেই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন। ফুসফুসে মিউকাস জমা হয়। যদি গুড় এবং ঘিয়ের মিশ্রণ নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে সাইনাসের যন্ত্রনা থেকে যেমন মুক্তি পাওয়া যায় তেমনই সর্দি-কাশির সমস্যাও কমতে পারে। নুন ছাড়া মাখনে আছে বহু গুণ। শীতে ঘরে তৈরি মাখন খেতে পারেন। এটি হজম প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বাড়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও। (Disclaimer: প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কোনও সুপারিশ করা হচ্ছে না।)

VIEW ALL

Read Next Story