ওয়েব ডেস্কঃ আমরা ভাবি বিচারের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা, এ দৃশ্য শুধু ভারতবর্ষেই দেখা যায়। কিন্তু লস এঞ্জেলস দেখিয়ে দিল যে তারাও ভারতের পাশে আছে। ২০১০ সালে ধরা পড়েছিল সিরিয়াল কিলার ‘গ্রিম স্লিপার’। তারপর ছ’বছর লাগল লুনি ফ্র্যাঙ্কলিন জুনিয়র ওরফে গ্রিম স্লিপারের শুনানি শুরু করতে।
 
১৯৮৫-২০০৭ এই লম্বা সময় ধরে একের পর এক খুন করে গিয়েছে ‘গ্রিম স্লিপার’। অন্তত ১০ জন মহিলাকে ফ্র্যাঙ্কলিনের বলি হতে হয়। তার টার্গেট ছিল মূলত অল্প বয়সী, কালো চামড়ার মহিলারা। এদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন দেহ ব্যবসায়ী  ও ড্রাগের নেশায় আশক্ত। কারণ এদের ওপর আক্রমণ করাটা সহজ হয়। এ ধরণের মহিলারা সাধারণত নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত থাকে না।


একদম ফিল্মি কায়দায় প্রথমে যৌন অত্যাচার করে তারপর খুব কাছ থেকে গুলি করো খুন করত ফ্র্যাঙ্কলিন। তারপর দেহগুলিকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় নোংরার ভ্যাটে ফেলে দিত। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই পুলিশের চোখের আড়ালে নিজের কাজ করে গিয়েছে ‘গ্রিম স্লিপার’। অবশেষে ২০১০ সালে ধরা পরে। এরপর অনেক বছর অপেক্ষা করতে হলেও শেষ পর্যন্ত বিচারের আশায় ফ্র্যাঙ্কলিনের ‘ভিক্টিম’-এর পরিবারের লোকজন।