ব্যুরো রিপোর্ট: বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চের এখনও খোঁজ মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় শতাধিক মানুষকে জীবীত অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও, দুজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধানে চলছে তল্লাসি। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্ধারকাজে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তীব্র স্রোত ও প্রবল ঢেউয়ের কারণে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার বেলা এগারোটা নাগাদ কাওড়াকান্দি থেকে মাওয়া যাওয়ার সময় মুন্সীগঞ্জের কাছে নদীর লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে উল্টে যায় ML পিনাক ছয় নামে একটি লঞ্চ। দুর্ঘটনার পরই ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে উপকূলরক্ষী বাহিনী, দমকল বাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগান।


সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাথমিক ভাবে শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু প্রবল স্রোত আর ঝোড়ো হাওয়ায় ব্যাহত হয় উদ্ধারকাজ। দুর্ঘটনারপর সোনার ব্যবহার করে জলের নিচে লঞ্চটি সনাক্ত করার চেষ্টা চালানো হলেও তাতে সাফল্য আসেনি। রাত দশটার পর ঘটনাস্থলে যায় উদ্ধারকারী জাহাজ এমভি রুস্তম। তারপর রুস্তমের নেতৃত্বে পনেরোটি জলযান নিয়ে রাতভর চলে তল্লাসি। প্রশাসনের দাবি, ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমএল পিনাকের যাত্রীবহন ক্ষমতা একশো কুড়ি থেকে দেড়শো হলেও দুর্ঘটনায় সময় তাতে যাত্রী ছিলেন সাড়ে তিনশোজন। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে BIWTA। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের অনেকেরই অভিযোগ, বহনক্ষমতার চেয়ে লঞ্চে বেশি যাত্রী তোলা হয়। সেকারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ।দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করছে সমুদ্র পরিবহণ দফতর ও নৌ পরিবহণ মন্ত্রক।