নিজস্ব প্রতিবেদন— ভাবতে পারছেন, ১০৩ বছরের এক বৃদ্ধা! তাঁর শরীরে আবার নাকি হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। আর সেই মারণ ভাইরাসকে তিনি হারিয়েছেন। এই বয়সে। সারা বিশ্বের বহু মানুষ প্রাণঘাতী ভাইরাসের কাছে হার মেনেছে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। কত কমবয়সী মানুষও হার মেনেছেন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে। সেখানে এই অশীতিপর বৃদ্ধা কী করে পারলেন! ১০৩ বছর বয়সী অ্যাডা জানুসোর এই লড়াইয়ের গল্পটা চিকিতসকদের কাছেও রূপকথার মতো। অনেক সময় এমন অনেক কিছুই তো হয় যা আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের ধরা—ছোঁয়ার বাইরে! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফ্রান্সের মতো ইতালিতেও বহু মানুষ রয়েছেন যাঁদের অভিহিত করা হয় সুপার ওল্ড বলে। এই সুপার ওল্ড কমিউনিটির প্রত্যেকের বয়স ১০০ বা তার উপর। চিনের মারণ ভাইরাস ইতালিতে থাবা বসিয়েছিল। আর সেই থাবা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের। ইউরোপের পর্যটনকেন্দ্রের অবস্থা এখন প্রেতপুরীর মতো। রাস্তাঘাট ফাঁকা। হাজার হাজার মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত। রোজ যেন মৃত্যু মিছিল বেরোচ্ছে সেখানে। এমন মৃত্যু উপত্যকায় এখন অনুপ্রেরণা অ্যাডা। তিনিই যেন বহু মানুষকে শেখাচ্ছেন, লড়াই কীভাবে করতে হয়! ইতালির লেসোনা শহরে প্রবীণদের জন্য তৈরি মারিয়া গ্রাজিয়া অ্যাপার্টমেন্টে ফিরেছেন অ্যাডা। আর ফিরেই বসে পড়েছেন টেলিভিশনের সামনে। আবার দেশের হালহকিকত জানতে নজর রাখছেন খবরের কাগজে।


আরে পড়ুন— এক মাসের লকডাউন! করোনা মোকাবিলায় দারুন সুফল পাচ্ছে নিউ জিল্যান্ড


অ্যাডার পারিবারিক চিকিৎসক কার্লা ফার্নো মার্চেস বলেছেন, ও তো খাওয়া—দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। তখন আমরা ভাবলাম, অ্যাডাকে হয়তো আর সুস্থ করে তোলা যাবে না। কারণ ও দুর্বল হয়ে পড়ছিল। তার পর একদিন সকালে ও চোখ খুলল।এক সপ্তাহ পর বিছানা ছেড়ে উঠল। তার পর একাই হাঁটতে শুরু করল। ওর মনের জোর ওকে সুস্থ করে তুলেছে। না হলে এই বয়সে এমন যুদ্ধ জয় সম্ভব হত না। এদিকে অ্যাডা বলছেন, সাহস, শক্তি ও বিশ্বাস, এই তিনটে থাকতে হবে। মনের জোর থাকলে সব হয়। নিজেক সবাই সাহসী করে তুলুন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন।