জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রবিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী  সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অর্থনীতিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। এই শ্বেতপত্রটি ৪০০ পৃষ্ঠার ডক্যুমেন্ট, ৩০টা অধ্যায় আছে। বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই শ্বেতপত্রে। তাদের দাবি শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা) পাচার হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। রবিবার ঢাকার তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং অর্থনীতিতে দুর্নীতি তদন্তে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন কমিটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Swastika Mukherjee: 'যত বয়স বাড়ছে তিক্ততা ভুলে ভালবাসাটুকুই আগলে...', জিতের স্মৃতিতে ডুব স্বস্তিকার!


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, 'শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। তাঁর দাবি শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে অর্থনীতির প্রতিটি খাত ধরে ধরে আলাদা বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে উন্নয়নের গল্প সাজাতে কীভাবে পরিসংখ্যানকে মেনুপুলেট করা হয়েছে। উন্নয়নের গল্প শোনানো হলেও ভেতরে ভেতরে চলেছে লুটতরাজের এক মহাযজ্ঞ'। প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল। আর্থিক খাতে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা ছিল আতঙ্কের বিষয়। আমাদের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, কেউ এ নিয়ে কথা বলেননি'।


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'অধ্যাপক ইউনূস এটা শুনে বলে বললেন যে আমরা আতঙ্কিত। কী ভয়াবহ অবস্থা আমাদের রক্ত হিম করার মতো অবস্থা। অনেক মানুষ গরিব, এ গরিব মানুষের টাকা এরা লুটপাট করেছে। এরা যে খুব বেশি লোক তা না। এখানে রাজনৈতিক ছিলেন, আমলা ছিলেন, অলিগার্স ছিলেন। কিছু ব্যবসায়ী ছিলেন। আপনারা জানেন আমাদের অনেক সাংবাদিক এটার বৈধতাও দিয়েছিলেন'।


আরও পড়ুন-Kabir Suman on Bangladesh: 'পতাকায় নয় কিছুই শুরু / পতাকায় নয় শেষ...', ভারত-বাংলাদেশ অশান্তির আবহে কলম ধরলেন কবীর সুমন...


প্রেস সচিব বলেন, 'অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, এটা লুটপাটের এমনই চিত্র, এটা আমাদের পাঠ্যবইয়ে আসা উচিত। কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের জানা উচিত গত ১৫ বছর কিভাবে এ লুটপাটটা চলেছে। যে টাকাগুলো বাইরে চলে গেছে এটা আমাদের সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার, এ টাকা যেভাবে হোক আমরা ফেরত আনার চেষ্টা করবো। সেই অনুযায়ী এ ১০ ডিসেম্বর থেকেই আপনারা দেখবেন অনেকগুলো কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে, অনেকের সঙ্গে, যারা যারা প্রতিষ্ঠান এগুলো নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক ধরনের বৈঠক হবে, কথা হবে। আমাদের পুরো ফোকাস হবে এ টাকাটা কিভাবে ফেরত আনা যায়।পতিত স্বৈরাচার এক ধরনের বীরত্বের সুরেই বলছিলেন যে তার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকা বানিয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস এ শ্বেতপত্র সম্পর্কে বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক দলিল, ল্যান্ডমার্ক ডক্যুমেন্ট।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)