নিজস্ব প্রতিবেদন- পাকিস্তানের ফারুকাবাদে প্রহরবিহীন রেলওয়ে ক্রসিং পেরোতে গিয়ে প্রাণ হারালেন ১৯ জন ধর্মাবলম্বী। জানা গিয়েছে, ফারুকাবাদ রেল স্টেশনের কাছাকাছি থাকা ওই ক্রসিং পেরোনোর সময় দুর্ঘটনা ঘটে। করাচি থেকে লাহোরে ফিরছিলেন শিখ ধর্মাবলম্বীরা। ক্রসিং পেরনোর সময় তাঁদের বাসের সঙ্গে প্রচন্ড গতিতে আসা হুসেন এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১৫ জন। আহত আরও অনেকে। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে ঘটনাস্থলেই ১৫ জন শিখ মারা যান। বাকি চারজন প্রাণ হারান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার দুপুরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের ফারুকাবাদ স্টেশনের কাছে। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই রেলওয়ে ক্রসিংয়ে গেট ছিল না। এমনকী কোনও প্রহরীও ছিল না। বাসচালক কোনোদিকে না দেখেই রেলওয়ে ক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় প্রচণ্ড গতিতে ছুটে আসছিল হুসেন এক্সপ্রেস। পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোক জ্ঞাপন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জানা গিয়েছে ওই শিখ ধর্মাবলম্বীরা নানকানা সাহিব থেকে প্রার্থনা সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। 


আরও পড়ুন-  ব্রিটেনের সিদ্ধান্তে মহা ফাঁপড়ে চিন, এবার পাল্টা হুঁশিয়ারি ড্রাগনের দেশের


গতবছর পাকিস্তানে তেজগাম রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৮৯ জন। গতবছর ইমরান খানের দেশে রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১০০ জন মানুষ।  সেই সময় ইমরান খানের একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিওটি নওয়াজ শরিফের আমলের। সেই সময় একবার রেল দুর্ঘটনায় পর ইমরান খান রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। কিন্তু গত বছর তেজগাম রেল দুর্ঘটনার পর রেলমন্ত্রী শেখ রশিদকে আড়াল করে রেখেছিলেন ইমরান খান। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল এমনই। গতবছর সাদিকাবাদে আরেকটি রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১১ জন। সেবারও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল ইমরান খানের সরকার। কিন্তু কারও শাস্তি হয়নি।