ওয়েব ডেস্ক : অপারেশন থান্ডার বোল্ড। রুদ্ধশ্বাস ১৩ মিনিটের অপারেশনে গুলশনের হোলে আর্টিজান কাফে জঙ্গিমুক্ত করে সেনা। কাফে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ জন পণবন্দির দেহ। গতরাতে নৃশংসভাবে তাদের কুপিয়ে খুন করে জঙ্গিরা। এদের মধ্যে অধিকাংশই জাপান ও ইতালির নাগরিক। সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনার তরফে একথা জানানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, "সেনা অপারেশন শেষ, জঙ্গিমুক্ত রেস্তরাঁ, জীবিত ধৃত ১", সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন শেখ হাসিনা


বাংলাদেশ সেনাপ্রধান আরও জানান, রাত থেকেই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপারেশনের প্রস্তুতি শুরু করেছিল সেনা। শেষ পর্যন্ত সকাল ৭টা ৪০ নাগাদ শুরু হয় অল আউট অপারেশন। ছয় জঙ্গিকে নিকেশ করে কাফের ভিতর ঢুকে পরে সেনা। এক জঙ্গিকে ধরে ফেলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ সেনা। জঙ্গিদের কাছে ছিল AK-২২ রাইফেল, পিস্তল। এরপর সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলে চিরুনি তল্লাশি। তবে এই অপারেশনে কোনও সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়নি। মৃত্যু হয়েছে দুই পুলিস আধিকারিকের। ১৩ জন পণবন্দিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।


পড়ুন, ১২ ঘণ্টার স্নায়ুযুদ্ধের পর জঙ্গি নিকেশে সেনা অভিযান 'শেষ' বাংলাদেশে, ভারতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে জারি হাই অ্যালার্ট


এদিকে হাইসিকিউরিটি জোন ঢাকার গুলশন এভাবে জঙ্গি হামলা হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় গলদের দিকেই আঙুল উঠছে। অন্যদিকে প্রথমে জানা না গেলেও পরে জানা যায়, নিহত পণবন্দিদের মধ্যে একজন ভারতীয় তরুণী ছিলেন। নাম তারুষি জইন। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইটারে তারুষির মৃত্যুর খবর জানান। অন্য ভারতীয়রা সকলেই সুরক্ষিত আছেন বলে খবর। 



আরও পড়ুন, ১২ ঘণ্টা পার, পণবন্দিদের মুক্ত করতে বাংলাদেশে শুরু কম্যান্ডো অভিযান