ট্রাম্প-কিম বৈঠকে `গৌরী সেন` সিঙ্গাপুর
বিপুল টাকা খরচ করছে সিঙ্গাপুর। তার পিছনে একটাই কারণ। সেটাই জানালেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৈঠকে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। আর সেই বৈঠকের যাবতীয় খরচ যোগাবে সিঙ্গাপুর! কিন্তু, কেন? খরচের পরিমাণটাই বা কত?
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং জানিয়েছেন, ট্রাম্প-কিম বৈঠকের জন্য মোট ২০ মিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০২ কোটি টাকা) খরচ করছে তাঁর সরকার। এই খরচের প্রায় অর্ধেক ব্যায় হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে। কিন্তু, এত খরচ কেন করছে সিঙ্গাপুর?
১২ জুনের বৈঠক 'কভার' করতে ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে পৌঁছে গিয়েছে আড়াই হাজার সাংবাদিক। আগামী কয়েক ঘণ্টা সামগ্রিক আন্তর্জাতিক দুনিয়ার চোখ আটকে থাকবে সিঙ্গাপুরেই। আর এমন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠার সুযোগটাকেই ষোলো আনা কাজে লাগাতে চাইছে লি সিয়েন লুং সরকার। এই বৈঠককে সামনে রেখে তাই আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের দেশের সম্ভবনার দিকগুলি আরও বেশি তুলে ধরতে চাইছে সেদেশের সরকার। সেজন্যই দুই ভিনদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক আয়োজনে এত বিপুল অর্থ খরচে এগিয়ে এসেছে সিঙ্গাপুর। আরও পড়ুন- যে হোটেলে সময় কাটাবেন কিম এবং ট্রাম্প...
বৈঠকের জন্য সিঙ্গাপুর-কে বাছা হল কেন?
ট্রাম্প-কিম বৈঠকের 'ভেন্যু' হয়ে ওঠার জন্য কোনও রকম চেষ্টাই করেনি তার সরকার, স্পষ্ট স্বীকারোক্তি লি সিয়েন লুং-এর। বরং, অযাচিতভাবে এমন অতিতাত্পর্যপূর্ণ বৈঠকের 'স্থান' হয়ে উঠতে পারার জন্য নিজেদের কূটনৈতিক অস্থানের সাফল্যের কথাই আওড়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, "আমরা নিজমুখে চাইনি। কিন্তু, আমাদের বেছে নেওয়ার (ভ্যেনু হিসাবে) পর, সাগ্রহে আমরা তা গ্রহণ করেছি"। আন্তর্জাতিক কূটনীতির মানচিত্রে সিঙ্গাপুরের অবস্থান অত্যন্ত কুশলী। মার্কিন মুলুক এবং উত্তর কোরিয়া, এই দুই দেশের সঙ্গেই তাদের সম্পর্ক বেশ ভাল। আর তাই সিঙ্গাপুরকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন একাংশের কূটনীতিকরা। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে এই সিঙ্গাপুরেই ৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার বৈঠকে বসেছিল চিন ও তাইওয়ান।