ওয়েব ডেস্কঃ পুলিস ও এয়ারপোর্ট অথরিটির খন্ডযুদ্ধে মঙ্গলবার প্রাণ হারালেন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের তিন কর্মী। ঘটনাটি ঘটে ইসলামাবাদের জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
বেসরকারীকরনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিবাদ শুরু করেন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের কর্মীরা। ধর্মঘটের ডাক দেয় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের সব ইউনিয়নের প্রতিনিধি জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের এক কর্মী সেলিম খান বলেন, ‘এভাবে আমাদের মুখের খাবার আমরা কেড়ে নিতে দেব না। দেহে শেষ বিন্দু রক্ত থাকা পর্জন্ত লড়াই করব’। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় বিমানবন্দরের কাজকর্ম। বাতিল হয়ে যায় বেশ কিছু ডোমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক উড়ান। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিসের সঙ্গে নামানো হয় প্যারামিলিটারি ফোর্স। প্রথমে জল কামান দিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করা হলেও পরে পুলিস গুলি চলাতে বাধ্য হয়। গুলির আঘাতেই নিহত হন তিন ধর্মঘটী। আহত হন ১২ জন।
পাকিস্তানের সবথেকে দুর্বল সংস্থা গুলির একটি হলো পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের। মাথায় ৩০০ বিলিয়ন টাকার ঋণের বোঝা নিয়ে সংস্থা চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়াতেই বেসরকারীকরনের ভাবনা বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের এক উচ্চপদস্থ কর্তা।