নিজস্ব প্রতিবেদন: আড়াই বছরের শিশু না-কি গাছে চড়তে পারে! এ ডালে ও ডালে অবাধে তার চলাচল। এমনকী তার মায়ের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝুলেও থাকে সে। বাঁদর নয়, মানুষই। তবে প্রায় ৩০ লক্ষ বছর আগে শিশুদের এমন ক্ষমতা ছিল বলে জানাচ্ছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ২০০২ সালে ইথিওপিয়ার ডিকিকায় এক শিশুর পূর্ণাঙ্গ জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। শিশুটির জীবাশ্ম গবেষণা করেই মিলেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ইন্দোনেশিয়ায় ফেরি ডুবে মৃত কমপক্ষে ৩৪, চলছে উদ্ধারকার্য


শিশুটির নাম সেলাম। ইথিওপিয়ার আমহেরিক ভাষায় যার অর্থ ‘শান্তি’। ৩০ লক্ষ বছর আগে এত কম বয়সের পূর্ণাঙ্গ জীবশ্মের আবিষ্কার এই প্রথম বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমাউথ কলেজে নৃতত্ত্ববিদ জেরেমি ডিসলভা জানিয়েছেন, আড়াই বছরের শিশু হাঁটতে পারে এমন জীবাশ্মের খোঁজ মিলল এই প্রথম। তার গোটা পায়ের পাতার হাড় উদ্ধার করা গিয়েছে। সায়েন্স অ্যাডভান্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, সালেমের সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাঁটার ক্ষমতা ছিল। এখনকার মানুষের সঙ্গে তার পায়ের পাতা, হাঁটু, নিতম্বের কঙ্কালের হুবুহু মিল রয়েছে।



আরও পড়ুন- শরণার্থী শিশুদের মুক্তির দাবিতে স্ট্যাচু অব লিবার্টির উপরে উঠে বিক্ষোভ মহিলার


১৮ লক্ষ বছরের পুরনো ১১ বছর কিশোরে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবাশ্ম মিলেছে ইথিওপিয়ায়। ‘লুসি’ নামে ওই জীবাশ্মের সঙ্গে সালেমের মিল রয়েছে। তবে কী কারণে গাছে থাকত মানুষ? বিজ্ঞানীদের দাবি, সে সময় হিংস্র জীবজন্তুর হাত থেকে বাঁচতে গাছই ছিল আদর্শ আস্তানা। সে সময় আগুনের ব্যবহার শেখেনি মানুষ। এমনকী নিরাপত্তা জন্য প্রতিরোধ করার কৌশলও শিখে উঠতে পারেনি তারা। সন্ধে নামলেই সে সময় গাছে থাকাটাই বেশি নিরাপদ বলে মনে করত মানুষ।  


আরও পড়ুন- এমিরেটস-এ বাদ পড়ল হিন্দু মিল