নিজস্ব প্রতিবেদন- ২২ মে করাচি বিমানবন্দরের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি বিমান। পিআইএ ফ্লাইট পিকে-8303 বিমানের দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছিলেন কয়েকজন অফিসার। তদন্তে নেমে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে এল। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে ৪০ শতাংশ পাইলটের লাইসেন্স ভুয়া। অবসর নিয়েছেন এমন অনেকেরও লাইসেন্স রয়েছে কয়েকশো। প্রশ্ন উঠছে, কী করে পাকিস্তানে বিমান চলাচল হয়! এত মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে কী করে এই বেআইনি কাজ করে চলেছে কিছু অসাধু পাইলট! করাচিতে যে বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল সেটিতে আটজন ক্রু মেম্বারসহ ৯৯ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে দু'জন ছাড়া বাকি সবাই প্রাণ হারান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তানের বিমানমন্ত্রী গোলাম সারওয়ার জানিয়েছেন, তাঁদের দেশে ৪০ শতাংশ পাইলট-এর লাইসেন্স ভুয়া। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, এয়ার ব্লু-র মতো একাধিক সংস্থার পাইলট মিলিয়ে মোট ৮৪০ জন সক্রিয় পাইলট রয়েছেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হওয়া একটি তদন্তের রিপোর্ট বলছে, তাঁদের মধ্যে ২৬২ জন পাইলট পরীক্ষা দেননি। তাঁদের পরিবর্তে অন্য কেউ লাইসেন্স এর জন্য পরীক্ষা দিয়েছিল। সারোয়ার আরও জানিয়েছেন, যেসব পাইলটের ভুয়া লাইসেন্স রয়েছে তাঁদের মধ্যে অনেকেরই ফ্লাইং অভিজ্ঞতাই নেই। আবার ৪০ শতাংশের মধ্যে কেউ কেউ এখন চাকরিই করেন না। 


আরও পড়ুন-  এবার মুরগি থেকে ছড়াচ্ছে নতুন ব্যাকটেরিয়া! একজনের মৃত্যু, ৮৬ জন ভর্তি হাসপাতালে


পাকিস্তানের বিমানমন্ত্রী জানিয়েছেন, অনেক রাজনৈতিক নেতার সুপারিশে চাকরি হয়েছে বহু পাইলটদের। মেধার মূল্যায়ন করা হয়নি নিয়োগের সময়। মন্ত্রীদের সুপারিশে পাইলট হয়েছেন অনেকেই। অথচ তাদের মধ্যে অনেকেরই পাইলট হওয়ার যোগ্যতা নেই। এমন চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে আসার পর পাকিস্থানে তো বটেই বিশ্বজুড়ে হইচই শুরু হয়েছে। সবাই প্রশ্ন করছেন, কী করে একটা দেশের সরকার এতটা দুর্নীতিপরায়ণ হতে পারে! পাইলট হওয়ার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কোনোটা না থাকা সত্ত্বেও কী করে ভুয়া পাইলটদের নিয়োগ হয়! সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা কেন!