ওয়েব ডেস্ক : সিলেট, ঝিনাইদহের পর এবার রাজশাহী। ফের জঙ্গি ডেরায় অভিযানে বাংলাদেশ পুলিস। পালানোর পথ না পেয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। নিহত ৫ জঙ্গি। জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক দমকলকর্মীর। আহত কয়েকজন পুলিস। মাঠের মধ্যে বাঁশ আর টিন দিয়ে তৈরি ছোট্ট বাড়ি। গ্রামের বসতি এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোপন সূত্রে খবর মেলে, ওই বাড়িতে লুকিয়ে আছে জঙ্গিরা। ভোররাতে এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিস। হ্যান্ড মাইকে জঙ্গিদের বেরিয়ে আসতে বলে পুলিস। বাড়ির ভিতর থেকে দু'রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর বাড়ি ঘিরে অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে পুলিস। পালানোর পথ আর নেই। তা বুঝেই কাউন্টার অ্যাটাকে জঙ্গিরা। আচমকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুলিস ও দমকলকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কয়েকজন। এক দমকলকর্মীকে কোপাতে শুরু করে এক মহিলা। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই দমকলকর্মীর। এরপরই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ৫ জঙ্গির।


আরও পড়ুন- ISIS-এর হাতে পৌঁছানোর আগে আটক ৪ কোটি নিষিদ্ধ ভারতীয় পেইনকিলার!


বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় বাড়ির মালিক সাজ্জাদ হোসেন, তার স্ত্রী বেলি, দুই ছেলে আলামিন ও শোয়েব, এবং মেয়ে করিমার। সাজ্জাদ গ্রামে কাপড় ফেরি করত। তার ২ ছেলে চাষের কাজ করত। এলাকায় তাদের মেলামেশা ছিল না। পুলিসের কাছে ২ শিশুসন্তান সহ আত্মসমর্পণ করেছে সাজ্জাদের মেয়ে সুমাইয়া।


পুলিস সূত্রে খবর, সুমাইয়ার স্বামী জহরুল জেএমবির সঙ্গে যুক্ত। জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য গত ৪ মাস ধরে জেলে বন্দী সে। বোমার স্প্লিন্টারে আহত হন ৭ জন পুলিসকর্মী। তাঁদের কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। পুলিসের আশঙ্কা, বাড়ির আশপাশে আরও বিস্ফোরক থাকতে পারে। তাই অত্যন্ত সতকর্তার সঙ্গে জঙ্গি জেরা ঘিরে অভিযান চালায় পুলিস।


প্রশ্ন উঠছে বার বার কেনও টার্গেট বাংলাদেশ?


ঢাকার হোলে আর্টিসান ক্যাফে থেকে সিলেট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঝিনাইদহ। কখনও আইএস, কখনও জেএমবি। বাংলাদেশ জুড়ে জঙ্গি গোষ্ঠী এবং মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্ত হাসিনা প্রশাসনের রাতে ঘুম কেড়েছে।