ওয়েব ডেস্ক: আমরা নাকি সভ্য সমাজে বাস করি। যে সমাজে আইনকানুন আছে। যেখানে অপরাধের শাস্তি দেওয়ার জন্য আদালত আছে। কিন্তু সৌদি আরব বোধহয় এই সভ্য সমাজের গণ্ডির বাইরে। এখনও সে দেশে চলে জঙ্গলের রাজত্ব। নাহলে একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও এমন বর্বরতা! ছিঃ...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চুরি ডাকাতির মতো অপরাধ সব দেশেরই নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু তাই বলে এই অপরাধের এমন নৃশংস শাস্তি ! পাঁচ জনের একটি ডাকাত দল বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করছিল। কিন্তু এই ডাকাতরা যখন ধরা পড়ল তখন তাদের যে শাস্তি দেওয়া জল তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানাবে। প্রকাশ্য রাস্তায় বসিয়ে বলি দেওয়া হল পাঁচ ডাকাতকে। তারপর তাদের কাটা মুণ্ডু এক এক করে শূন্যে উড়িয়ে 'সেলিব্রেট' করা হয় শাস্তি দেওয়ার আনন্দ। এখানেই শেষ নয়। মানুষ যাতে এই শাস্তির নিদর্শন দেখতে পায় সেইজন্য প্রতিটি মুণ্ডবিহীন দেহকে ২টি ক্রেন জোড়া লাগিয়ে উঁচুতে নিয়ে গিয়ে পরপর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।



এমনই শাস্তির সম্মুখীন হন এক মহিলাও। তাঁর ওপর অভিযোগ ছিল তিনি তাঁর সত বোনকে খুন করেছেন। তাই কোনও বিচার ছাড়াই সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধের চপচপ স্কোয়ারের মাঝে বসিয়ে প্রাকাশ্য রাস্তায় জনগণের সামনে তরোয়াল দিয়ে তাঁর মাথা ধর থেকে আলাদা করা দেওয়া হয়। শেষ বেলা অবধি ওই মহিলা কাতর আর্তনাদ করে যাচ্ছিলেন, 'আমি কোনও খুন করিনি'। কিন্তু ভিড়ে সবাই তখন নীরব দর্শক, এমনকি পুলিসও। তাঁর আর্তনাদ কারো কান অবধি পৌঁছ্য়নি। 'সৌদি আরবিয়া আনকভার্ড' নামে এক ডকুমেন্টরিতে ধরা পড়েছে আরবের এই নৃশংস চেহারা।