নিজস্ব প্রতিবেদন : সাত সকালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। ভূমিকম্পের ফলে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত কমপক্ষে ১৪০।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্ব মানচিত্রে অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ ইন্দোনেশিয়া। এদিন স্থানীয় সময় পৌনে ৭টা নাগাদ কেঁপে ওঠে মাটি। জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার লম্বক দ্বীপের মাতারাম শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ছিল ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র। ভূমিকম্পের জেরে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে দ্বীপপুঞ্জে।



ভূমিকম্পের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লম্বক এলাকাটি। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। এই লম্বক দ্বীপে প্রায় ৩ লাখ মানুষের বাস বলে সেখানকার সরকারি সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবাই প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে। মূল কম্পনের পর আরও প্রায় ১১ বার আফটার শক অনুভূত হয়।



প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় বলয়ে অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ। মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দ্বীপপুঞ্জের মাটি। ভূমিকম্পের ফলে সুনামিরও আশঙ্কা রয়েছে দ্বীপপুঞ্জে। ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটি হয় ২০০৪ সালে। পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা উপকূলে সমুদ্রের গভীরে ৯.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে সুনামির ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখনও স্মৃতিতে টাটকা। সেই সুনামিতে প্রাণ ১ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ায়।