নিজস্ব প্রতিবেদন: ইমরান খানের প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনের পর দিন চলছে নারী পাচার! ২০১৮ সালের পর ৬২৯ নারী বিয়ের নামে চিনে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। বলছে খোদ পাক গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তানে গরিব পরিবারের মেয়েদের বড় অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে চিনা নাগরিকদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁদের চিনে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেখানে পাকিস্তানের মেয়েদের যৌনকর্মী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের পাচার চক্র দিনের পর দিন চলছে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে। ইমরান খানের কাছে সে রিপোর্ট গিয়েছে, কিন্তু কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।


আও পড়ুন- ভার লাঘবে সাড়া, BSNL ও MTNL-এর ৯২,০০০ কর্মী নিলেন স্বেচ্ছাবসর


সূত্রে খবর, নারী পাচারচক্রে বেশি শিকার হচ্ছেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। সে দেশে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত গরিব হওয়া এই ফাঁদে বেশি পড়ছেন। জানা হচ্ছে কিছু দালাল পাক মেয়ে বিক্রির জন্য চিনা কাস্টোমারদের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৬৫ হাজার ডলার নেয়। ওই গরিব পরিবারদের দেওয়া হয় মাত্র দেড় হাজার ডলার। পঞ্জাব প্রোভিন্স, ইসলামাবাদ থেকে এমনই ৫২ চিনা নাগরিক এবং ২০ পাকিস্তানির বিরুদ্ধে মামলা হয়। কিন্তু প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান ৩১ চিনা নাগরিক।



চিনে ‘এক সন্তান নীতি’ চালু থাকায় মেয়ের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকখানি কমে গিয়েছে। যার ফলে নারী পাচারের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম থেকে নারী পাচার সব থেকে বেশি হয়। তবে, পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সূত্রে চিনের সম্পর্ক ভাল থাকার সুবাদে পাকিস্তানি মেয়েদের চাহিদা আরও বেশি বলে ওই রিপোর্টে প্রকাশ।