নিজস্ব প্রতিবেদন: সকাল সাড়ে ৬টা। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিরাপত্তা বেষ্টনীর দিকে রুদ্ধশ্বাসে ধেয়ে আসছে একটি গাড়ি। এই চত্বরে গাড়ির গতি যতটা থাকা উচিত, তার থেকে ঢের বেশি গতি নিয়ে এগোচ্ছিল গাড়িটি। উলটো দিকে বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা রক্ষীরা। এরপর কোনও ভ্রুক্ষেপ না করেই গাড়িটি সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে বেষ্টনীতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- চলে গেলেন ‘আ হাউস ফর মিস্টার বিশ্বাস’-এর স্রষ্টা ভি এস নইপল


এমন দৃশ্য প্রত্যক্ষ করার পর জেসন উইলিয়ামস নামে এক পথচারি বলেন, “এটি কোনও পথ দুর্ঘটনা নয়। সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মাফিক হামলা।” যদিও কারও প্রাণহানি হয়নি। তবে জখম হয়েছেন  বেশ কয়েকজন।  ওয়েস্টমিনস্টার পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপের যোগ মেলেনি। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই গাড়ির চালককে।


আরও পড়ুন- ভয়াবহ ভূমিকম্পের জের, ১০ ইঞ্চি উঠে এল ইন্দোনেশিয়া


এই সময় পার্লামেন্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকায় কার্যত শুনশান ছিল গোটা চত্বর। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বেষ্টনীর উলটো দিকে বন্দুক নিয়ে ব্রিটিশ সেনারা প্রহরায় থাকলেও সোজা ধাক্কা মারে গাড়িটি। আহত হন কয়েক জন পথচারী। এক সাইকেল আরোহীও গুরুতর আহত হন। পার্লামেন্ট চত্বরে নিরাপত্তার গন্ডি পেরিয়ে এমন দুর্ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে ব্রিটিশ প্রশাসন।  পার্লামেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে এমন দুর্ঘটনা আন্দাজ করে আগেই থামানোর চেষ্টা করল না কেন নিরাপত্তা রক্ষীরা, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।


আরও পড়ুন- চাওয়ালা বলে প্রচার, ভোট ফুরোতেই কোটিপতি ইমরানের দলের সাংসদ!


এই ঘটনা ঘটার পর পার্লামেন্টের নিকটবর্তী মেট্রো স্টেশন কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়। গোটা চত্বর নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় ঢেকে ফেলা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ওয়েস্টমিনস্টারেই ৫২ বছর বয়সী খালিদ মাসুদ প্রকাশ্যে ৪ জনকে খুন করেছিল। পার্লামেন্টের সামনে একজন পুলিস কর্মীকেও খুন করে সে। এরপর তাকে গুলি করে শ্যুট আউট করে ব্রিটেন পুলিস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইংল্যান্ডেও ‘লোন উলফ অ্যাটাকের’ প্রবণতা বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গত সপ্তাহে এক দুষ্কৃতী লন্ডন অক্সফোর্ড স্ট্রিটে বেপরোয়াভাবে ট্রাক চালিয়ে একশোর বেশি মানুষকে হত্যা করে।