ওয়েব ডেস্ক: টাইটানিক সিনেমায় জ্যাক-রোজের সেই শেষ দৃশ্যের কথা মনে আছে?ভ্যালেনটাইন্স ডে-তে টাইটানিকের এই দৃশ্যটা মনে রাখার প্রশ্নটা করাই বোকামো। আচ্ছা তবু বলি সেই শেষ দৃশ্যে জ্যাক একটা কাঠের ওপর রোজকে রেখে নিজে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। আমাদের এই ঘটনার কেন্দ্রীয় চরিত্র কিন্তু জ্যাক-রোজের কাছাকাছি কোনও একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে বেঁচে থাকার লড়াই চালাচ্ছে। ক্যামরনের ক্যামেরা যখন নায়ক-নায়িকার দিকে তাক করা তখন উনি ভেসে রয়েছেন মৃত্যুর সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়ে। যাক সিনেমা ছেড়ে বাস্তবের কথায় আসি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯১১ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক ডুবির রাতে জাহাজডুবির পর তিনি ভেসে ছিলেন বরফ গলা অসম্ভব ঠান্ডায়। শেষ অবধি উদ্ধারকারী দল একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে এনাকে বাঁচিয়ে ডাঙায় নিয়ে যায়। নামটা এতক্ষণে বলে দেওয়া যাক। ওার নাম আর.নরিস উইলিয়ামস। টাইটানিক ডুবির পর অসহ্য বরফগলা আটালান্টিকের জলে যিনি ভেসে নিজের পায়ের বশ হারিয়ে ছিলেন। ডাক্তাররা বলেছিলেন, নরিসের পা দুটো বাদ দিতে হবে। নরিস রাজি হননি। বলেছিলেন, আমি ঠিক ফিরে আসব''।


আস্তে আস্তে কঠোর পরিশ্রম শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র টেনিস ওপেন বা ইউ ওপেনে নামেন নরিস। আর হ্যাঁ, চ্যাম্পিয়নও তিনিই হন। নরিস বলেছিলেন, ''টাইটানিকের সেই দুর্ঘটনায় ভগবান আমায় বাঁচিয়ে দিয়েছিল। নিশ্চই তার কোনও কারণ ছিল। তাই আমি কারণটা খুঁজে বের করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাস্তা খুঁজে পেলাম।''দুবার ইউএসওপেন চ্যাম্পিয়ন, উইম্বলডন সেমিফাইনালিস্ট নরিস মারা যান ১৯৬৮ সালে। মারা যাওয়ার সময় নাকি তিনি বলেছিলেন, ''আমায় আর বাঁচিও না।''