৭০০ বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল `গুণধর` যুবকের, থামতে হল ২৮৬ নম্বরে
২০০৫ সালে ২১ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে করেন জাকির। এখন তাঁর বয়স ৩৫।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ইচ্ছে ছিল সাতশো বিয়ে করবেন। হল না। থামতে হল ২৮৬ নম্বরে এসে। ভাল পোশাক, মুখে সবসময় মিষ্টি কথা। এই ছিল তাঁর অস্ত্র। তাঁকে ধরা সহজ ছিল না। কখনও তিনি সরকারী কর্মী। কখনও আবার বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী। এভাবেই তিনি একেক জায়গায় একেক পরিচয়ে ঠকবাজি করতেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পুলিসের জালে আটক হলেন ৩৫ বছর বয়সী জাকির। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। তেজগাঁও থানার পুলিসকে জাকির জানিয়েছেন, সাতশো বিয়ে করার টার্গেট করেছিলেন তিনি।
২০০৫ সালে ২১ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে করেন জাকির। এখন তাঁর বয়স ৩৫। এই ১৪ বছরে জাকির ২৮৬ বার বিয়ে করেছেন। টাকার লোভ আর নারী শরীরের প্রতি আসক্তি থেকেই এমনটা করেছেন বলে পুলিসকে জানিয়েছেন তিনি। দামি গাড়ি, নামী হোটেলে খাওয়া-দাওয়া, বিদেশ ভ্রমণ, সবই করতেন জাকির। আর সবই করতেন বিয়ে করে পাওয়া টাকা থেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুবতীদের সঙ্গে আলাপ জমাতেন জাকির। তার পর মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে দিতেন তাঁদের। এর পর সম্পর্ক গড়াত বিয়ের পিঁড়িতে। বিয়ের পর পাত্রীর বাড়িতেই থাকতেন জাকির। এর পর কৌশলে সেখান থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে সরে পড়তেন।
আরও পড়ুন- নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে মিথ্যে খবর, বাংলাদেশের ২ দৈনিকের কাছে ব্যাখ্যা চাইল হাসিনা সরকার
বিয়ের পরই পাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো রাখতেন মোবাইলে। পাত্রী তাঁর নামে অভিযোগ জানানোর উদ্যোগ নিলেই ভিডিয়ো ফাঁস করার ভয় দেখাতেন জাকির। প্রতারণা চক্র চালাতেন এই যুবক। নকল কাজি ও মৌলবিও এই চক্রে থাকত। এছাড়া কিছু মানুষকে নিজের মা,বাবা, কাকা, মামা সাজিয়ে রাখতেন। একজন মহিলা কিছুদিন আগে জাকিরের নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরই পুলিস তদন্তে নেমে জাকিরের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারে। সেই মহিলাকে জাকিরের পাঠানো একটি মেসেজ দেখে পুলিস তদন্ত শুরু করে। সেই মেসেজে লেখা ছিল- ''তোমার মতো ২৮৬ জনকে আমি পার করেছি। আর শেষে তুমি মামলা করলে!'' জাকিরের এমন কাণ্ডের কতা জানতে পেরে পুলিসকর্মীরাও অবাক।