নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনা সংক্রমণ রোখার তাগিদে বিশ্বের বহু দেশে জারি লকডাউন। যার যেরে বন্ধ সব কলকারখানা। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও কম। স্বাভাবিকভাবে দূষনের হারও কমেছে আগের থেকে অনেকটাই। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন শুদ্ধ বাতাস ও দূষণহীন আবহাওয়া সাময়িক। লকডাউন উঠলেই আবার পরিস্থিতি যেমন ছিল তেমনই হয়ে যাবে। তবে এমন দূষণহীন অবস্থায় খুব তাড়াতাড়ি বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর নিজেকে নিরাময় করে তুলছিল। কিন্তু এবার বড়সড় এক আশঙ্কা দেখা দিল আবার। আর্কটিকের ওপর ওজোন স্তরে ধরা পড়ল বিশাল আকারের গর্ত। যার জেরে চিন্তায় বিজ্ঞানী মহল থেকে পরিবেশবিদরাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরে পড়ুন— বয়স ১০৩ বছর! করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জিতে ইনি বলছেন, মনের জোরে সব হয়


প্রাথমিকভাবে অবিরত চলতে থাকা জলবায়ুর পরিবর্তনকেই কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। এছাড়া বছরের এই সময় উত্তর মেরুর বায়ুমণ্ডলের চরম শীতলাবস্থাও কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 
কোপার্নিকাস সেন্টিনেল-৫ পি উপগ্রহের তথ্য ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা আর্কটিকের ওজোন ঘনত্বের শক্তির ক্ষয় লক্ষ্য করেছেন। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি একটি বিবৃতিতে বলেছে, স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের শীতল তাপমাত্রা সহ অস্বাভাবিক বায়ুমণ্ডলীয় পরিস্থিতি ওজোন স্তরকে নিমজ্জিত করেছে এবং ওজোন স্তরে 'মিনি-হোল' তৈরি হয়েছে। 


অতীতেও উত্তর মেরুতে এধরনের ওজোন ছিদ্র দেখা গিয়েছিল। তবে এবছরের এই আর্কটিকের ছিদ্র যথেষ্ট বড়। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জার্মান এরোস্পেস সেন্টার (DLR)। জার্মান বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুযায়ী, ওজোন স্তরে এই ঘনত্ব হ্রাস অস্বাভাবিক। কোপার্নিকাস সেন্টিনেল -৫ পি উপগ্রহের তথ্য নিয়ে তাই চিন্তায় পড়েছে সারা বিশ্ব। প্রসঙ্গত ওজোন স্তর পৃথিবীতে প্রাণী জগতের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সারা পৃথিবীর উপর চাদরের ন্যায় আস্তরণ সৃষ্টি করে সমগ্র জীবকুলকে রক্ষা করে চলেছে এই নিরাপত্তা বলয়। সূর্যের মারাত্মক অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে ওজোন বলয়। এই স্তর না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণীজগতের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। যদি এই স্তরটি পাতলা হয়ে যায় বা স্তরে গর্ত তৈরি হয় তবে এটি ত্বকের ক্যান্সার এবং ছানি, ছত্রাকের মতো অসুস্থতা বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি ব্যাপক পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি ঘটবে। বিঘ্নিত হবে বাস্তুতন্ত্র।