A Mother`s Day Letter: যুদ্ধক্ষেত্র থেকে মা`কে লেখা চিঠি ঠিকানায় পৌঁছল ১০৪ বছর পরে!
A Mother`s Day Letter Written during World War I: মা, আমি সব সময় তোমার কথা ভাবি। তোমাকে নিয়ে ভাবনা, তোমার দেওয়া উপদেশগুলো আমার কাছে উজ্জ্বল তারার মতো। সেগুলো মেনে চলি।` প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে মাকে লেখা এক পুত্রের চিঠি। ঠিকানায় পৌঁছল ১০৪ বছর পরে!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মা বেঁচে নেই। বেঁচে নেই সন্তানও। তবে মৃত সন্তানের চিঠি পৌঁছল মৃত মায়ের ঠিকানায়। ১০৪ বছর পরে! যে চিঠি পেয়ে প্রাপকের পরিবার আপ্লুত। মাদার'স ডে'র আগে মাদার'স ডে' উপলক্ষে মাকে লেখা এই চিঠি। লিখছেন এমন এক পুত্র যিনি সেই মুহূর্তে মায়ের থেকে অনেক দূরে। দেশের কাজে ফ্রান্সে। তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল। কী লেখা সেই চিঠিতে? চিঠিতে লেখা -- 'মা, আমি সব সময় তোমার কথা ভাবি। তোমাকে নিয়ে ভাবনা, তোমার দেওয়া উপদেশগুলো আমার কাছে উজ্জ্বল তারার মতো। সেগুলো মেনে চলি।' মাকে এভাবেই কথাগুলি লিখেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সেনা। ১০০ বছরের বেশি সময় আগে।
আরও পড়ুন: Gandhi Statue in Hiroshima: বিশ্ব শান্তি খুঁজছে গান্ধীতেই! হিরোশিমায় এবার মহাত্মা-মূর্তি...
দেশ থেকে দূরে পোস্টিংয়ে থাকা ওই সেনার নাম কার্ল হোয়ে। চিঠিটি তিনি লিখেছিলেন ১৯১৯ সালের ১০ মে, মাতৃদিবসের ঠিক আগের দিন। সে সময়ে তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহু দূরে, ফ্রান্সে। পরে তিনি দেশে ফিরেছিলেন অবশ্য, বিয়ে-থা করেছিলেন। তবে বেশিদিন বাঁচেননি। ১৯২৮ সালে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে কার্ল হোয়ের মৃত্যু হয়। সেই সময়ে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩৬ বছর।
আরও পড়ুন: উপগ্রহের স্কোরিংয়ে বৃহস্পতিকে টপকে সৌরজগতে 'ফার্স্টবয়' এখন শনিই...
কার্ল হোয়ের লেখা আবেগকম্পিত ইতিহাসের গন্ধ-লাগা সেই চিঠি সম্প্রতি অনলাইন কেনাকাটার ওয়েবসাইট 'ই-বে'তে চোখে পড়ে একদল গবেষকের। এমন একটি চিঠি দেখেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, সেটি যে কোনও ভাবেই হোক হোয়ের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। অন্যরকম একটা গুরুত্ব আছে চিঠিটির। তাঁর পরিবার জানুক এমন একটি চিঠির ইতিহাস।
যথারীতি কাজ শুরু। 'ই-বে' থেকে গবেষকেরা চিঠিটি ১৫০ ডলার দিয়ে কিনে বিভিন্ন সূত্র ধরে খোঁজা শুরু করেন কার্ল হোয়ের পরিবারকে। সফলও হন। তাঁরা হোয়ের মেয়ের সন্ধান পান। বাবার মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ছবছর। তবে চিঠিটি হাতে পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অরেগনের বেভারটন শহরের বাসিন্দা জ্যান বেলিস-স্কুইরেস। জ্যান বেলিস-স্কুইরেস কার্ল হোয়ের নাতনি।
এত দিন পরে দাদুর লেখা চিঠি হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। জানালেন, চিঠিটি তাঁর কাছে সম্পদের মতো। দাদুকে নিজের চোখে না দেখার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তিনি।