জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এই প্রথম আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে জন্ম নিল ইঁদুরের ভ্রূণ। নিঃসন্দেহে বড় মাপের খবর। কেননা, এই পথ ধরেই ক্রমে মানুষও মহাকাশে তার ভ্রুণ জন্ম দিতে সক্ষম হবে। 'নিউ সায়েন্টিস্ট' জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণা-নিবন্ধ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Largest Deposit of Hydrogen: মিলল 'সাদা' হাইড্রোজেনের বিপুল ভাণ্ডার! বাঁচিয়ে দেবে বিপন্ন পৃথিবীকে?


সেখান থেকে জানা গিয়েছে, প্রথমে কয়েকটি গর্ভবতী ইঁদুরের থেকে দুই কোষ বিশিষ্ট ভ্রূণ সংগ্রহ করা হয়েছিল। তারপর সেগুলিকে ঠান্ডায় জমিয়ে পাঠানো হয়েছিল মহাকাশে। সেখানে বিশেষ এক যন্ত্রে রাখা হয়েছিল ভ্রুণগুলিকে। জরায়ুর বাইরে দিনচারেক জীবিত থাকতে পারে ভ্রুণ। ওই ভ্রুণগুলিকেও চরদিনই রাখা হয়েছিল মহাকাশে। তারপর ফিরিয়ে আনা হয় পৃথিবীতে। 


বিস্ময়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছে, মহাকাশে থাকলেও ভ্রূণগুলির ডিএনএ কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শুধু তাই নয়, ভ্রূণগুলির স্বাভাবিক বিকাশও ঘটেছে। ফিটাস ও প্লাসেন্টা-- দুই ধরনের কোষে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে এগুলি। এরপর, ভ্রূণগুলিকে ইঁদুরের জরায়ুতে স্থাপন করে ইঁদুরছানার জন্ম দেওয়া যায় কিনা, সেই পরীক্ষা করা হবে। আগে মনে করা হত, মহাকাশের পরিবেশ ভ্রূণ-বিকাশে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই গবেষণা সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে।


আরও পড়ুন: Calcata: রোমেও রয়েছে আর এক 'কলকাতা'! চিনে নিন নদীতীরের এই প্রাচীন শহরকে...


মহাকাশে কি মানব প্রজনন সম্ভব? সেখানে মানুষ বংশবিস্তার করতে পারবে? পৃথিবীর বাইরে গর্ভবতী হতে পারবেন কোনও মানবী? এই সব প্রশ্ন ভাবিয়েছিল বিজ্ঞানীদের। সেই উত্তর খুঁজতে জাপানের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্য়াপক তেরুহিকো ওয়াকাইয়ামার নেতৃত্বে নেমে পড়েছিলেন একদল গবেষক। ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্পেসএক্সের একটি রকেটে করে কয়েকটি ইঁদুরের ভ্রুণ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)