Gautam Adani: ফের ধাক্কা আদানি গ্রুপের! হাত থেকে ফসকাল দুটি বড় চুক্তি...
Gautam Adani: দ্বিতীয় চুক্তি ছিল বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের জন্য। প্রায় ৭৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের চুক্তিটি গত মাসেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কেনিয়ায় বিমানবন্দর প্রকল্পের প্রস্তাবটি আদানি গ্রুপ গত মার্চ মাসে জমা দেয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে আদানি গ্রুপ। এবার ফের দুটি বড় চুক্তি হারাল আদানি এন্টারপ্রাইজ। বুধবার আমেরিকার নিউ ইয়র্কের ফেডারেল কোর্টে গৌতম আদানি ও তাঁর কয়েকজন সহযোগীকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তারপর বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এরেস্ট ওয়ারেন্ট বার করল আদানি এবং তাঁর আত্মীয় সাগর আদানির বিরুদ্ধে। সেই কারণেই কেনিয়ার নেটপাড়ায় আদানি বিরোধী ক্যাম্পেনিং চলছে। একাধিক হ্যাশট্যাগ যেমন- #StopAdani, #ArrestAdani, #StopAdaniDeal and #AdaniMustGo এইসব কেনিয়ার এক্সে ট্রেন্ডিং চলছে।
আরও পড়ুন: Putin | Russia: পেছন থেকে মদত! ইউক্রেনের পর এবার পুতিনের নিশানায় ইউরোপের একাধিক দেশ
প্রসঙ্গত, আদানি এনার্জি সলিউশান লিমিটেড এবং আদানি বিমানবন্দর হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে কেনিয়ার সরকারের কাজ করার কথা ছিল। প্রায় ২.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সাক্ষর হয়েছিল। কিন্তু সেই দুই চুক্তি ভেস্তে গেল। ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ঘুষ-জালিয়াতির অভিযোগ আনার পর এমন সিদ্ধান্ত নেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার কেনিয়ান পার্লামেন্টে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই সিদ্ধান্ত জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো।
রুটো তাঁর নিজের ভাষণে বলেন, 'যদি দুর্নীতির বিষয়ে নিশ্চিত প্রমাণ বা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য আসে, তাহলে আমি কঠোর পদক্ষেপ নিতে পিছপা হব না।' বাতিল হওয়া প্রথম চুক্তিটি ছিল প্রায় ২০০ কোটি ডলারের। এর মধ্যে ছিল নাইরোবির জোমো কেনিয়াট্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্বিতীয় রানওয়ে নির্মাণ এবং যাত্রী টার্মিনাল আরও উন্নত করার বিনিময়ে আদানি গ্রুপ ৩০ বছরের জন্য বিমানবন্দরটির নিয়ন্ত্রণ পেত।
দ্বিতীয় চুক্তি ছিল বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের জন্য। প্রায় ৭৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের চুক্তিটি গত মাসেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কেনিয়ায় বিমানবন্দর প্রকল্পের প্রস্তাবটি আদানি গ্রুপ গত মার্চ মাসে জমা দেয়। আদানি গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, তারা ‘সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেবে’। তবে কেনিয়া সরকারের চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি আদানি গ্রুপ।