Afghanistan: পাথর ছুড়ে হত্যার তালিবানি শাস্তি এড়াতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন আফগান তরুণী...
Afghanistan: মেয়েদের জন্য জেলের অভাবে বিবাহিত পুরুষবন্ধুর সঙ্গে পলাতকা ওই নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যার শাস্তির কথা ঠিক করা হয়েছিল। তাঁর পুরুষবন্ধুটিকেও হত্যা করা হয়েছে। মেয়েটি গলায় স্কার্ফ জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে তালিবান সূত্রই।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক আফগান নারী তালিবানের ভয়ে আত্মহত্যা করে বসলেন। আত্মহত্যা করলেন, পাছে তালিবান তাকে শাস্তি দেয়। কেন শাস্তি? কী তাঁর 'অপরাধ'? তিনি তাঁর পুরুষবন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন! তিনি শুনেছিলেন, তালিবান তাঁকে পাথর ছুড়ে মারার পরিকল্পনা করেছিল। সেই সুযোগ তিনি তাদের দিলেন না। জনসমক্ষে অপমান সহ্য করার চেয়ে আত্মহত্যার পথই বেছে নিলেন তিনি। আফগানিস্তানের ঘর প্রদেশের ঘটনা এটি। ঘর প্রদেশের তালিবান পুলিস প্রশাসনের মুখপাত্র আবদুল রহমান জানিয়েছেন, মেয়েদের জন্য জেলের অভাবে বিবাহিত পুরুষবন্ধুর সঙ্গে পলাতকা ওই নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যার শাস্তির কথাই ঠিক করা ছিল। ওই পুরুষবন্ধুটিকেও হত্যা করা হয়েছে। মেয়েটি গলায় স্কার্ফ জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে তালিবান সূত্রই।
আরও পড়ুন: Mahsa Amini: ইরানে হিজাব-বিতর্কে মাশা আমিনির সমর্থকদের কি কারাগারে পুড়িয়ে মারা হল?
ইদানীং কালে আফগানিস্তানে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া নারীর সংখ্যা বেড়েছে। তাবিবান এটা কড়া হাতে বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। তারা এর শাস্তিও ঘোষণা করে রেখেছে-- সংশ্লিষ্ট নারীটিকে জনসমক্ষে পাথর ছুড়ে হত্যা! এটা করা হবে, সাধারণকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। অর্থাৎ, তাঁদের কেউ এরকম করলে এই শাস্তিই পাবেন!
কেন তালিবান-অধ্যুষিত আফগানিস্তানে মেয়েরা এরকম মরিয়া হয়ে উঠেছেন?
আসলে মুখে তালিবান প্রশাসকেরা যা-ই বলুক না কেন, তারা মেয়েদের স্বাধীনতা সর্বার্থেই খর্ব করেছে। নানা রকম ভাবে মেয়েদের পায়ে বেড়ি পরিয়ে রেখেছে। তাঁরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন না, অফিসে কাজ করতে পারেন না। নানা রকম সামাজিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে মহিলাদের উপর। সেই দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে একরকম মুক্তি পাওয়ার জন্যই মেয়েরা এরকম মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।