জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে, বুধবার উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানে আরেকটি শক্তিশালী, ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। কম্পনগুলি ১০ কিলোমিটার (৬.২১মাইল) গভীরতায় শুরু হয়েছিল বলে গবেষণা কেন্দ্র জানিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নতুন করে কম্পনের কারণে কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর এখনও পাওয়া যায়নি।


শনিবার হেরাত শহরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একাধিক ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েকদিন পর এই ঘটনা ঘটেছে। শনিবারের কম্পনের ফলে ২০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং বহু হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়।


শনিবারের ৬.৩ মাত্রার কম্পন তুরস্ক এবং সিরিয়ার ভূমিকম্পে প্রায় ৫০০০০ লোকের প্রাণহানির পর এই বছরের সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা ছিল।


মঙ্গলবার, আফগানিস্তানের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ANDMA) এর মুখপাত্র মোল্লা সাইক নিশ্চিত করেছেন যে শনিবারের কম্পনের কারণে হতাহতের সংখ্যা ৪,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আরও, প্রায় ২০টি গ্রামের প্রায় ২,০০০ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন: Israel Palestine Conflict: যুদ্ধের বলি শিশুরা, ইজরায়েলের ভূ-খণ্ডে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে মুণ্ডুহীন ৪০ দেহ!


এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের মানবিক কার্যালয় ভূমিকম্প মোকাবিলায় ৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেছে।


আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, মূলত বিদেশী সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। তালিবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এবং অনেক আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপরেই গত দুই বছরে সেই ব্যবস্থায় ক্রমাগত শক্তিক্ষয় হয়েছে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরী প্রতিক্রিয়া প্রধান বলেছেন চিকিৎসা ও খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেঁচে যাওয়া জনগনের আশ্রয়ের খুব প্রয়োজন।


আরও পড়ুন: Israel-Hamas War | Mia Khalifa: প্যালেস্টাইনের সমর্থনে বিতর্কিত পোস্ট, এবার চরম পরিণতির শিকার মিয়া খালিফা!


এর আগে গত শনিবারে মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে ৩ বার কম্পন হয়। তাতেই পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল তালিবান-অধ্যুষিত আফগানিস্তানের একটি বড় অংশ! সে দেশের মানচিত্র থেকে পুরোপুরি মুছে যায় ১২টি গ্রাম। মৃতের সংখ্যা ২৫০০। এই সংখ্যা আরও বেড়েছে শেষ কয়েকদিনে।


শনিবার দুপুর ১২টা ১১ মিনিটে প্রথম কম্পন হয় পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাতে। সেই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.১। দ্বিতীয় কম্পনটি ঘটে ১২টা ১৯ মিনিট নাগাদ। এর তীব্রতা ছিল ৫.৬। তৃতীয় কম্পনটি ছিল আরও জোরালো-- তীব্রতা  ৬.৩! দুপুর ১২টা ৪২ মিনিটে কেঁপে উঠেছিল তালিবানের দেশ। এই কম্পনের উৎসস্থল ছিল হেরাত থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)