নিজস্ব প্রতিবেদন- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স-এর সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে স্বেচ্ছা অবসর নেন তিনি। সেই মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মহম্মদ রশিদ খান পুলিসের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সিনহার মৃত্যুতে এখন বাংলাদেশে তোলপাড়। পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন সিনহা। জবাবে তাঁকে গুলি করে পুলিস বাহিনী। হাসিনার প্রাক্তন বডিগার্ড-এর মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। মাত্র ৩৬ বছর বয়সী সিনহাকে পুরনো শত্রুতার জেরে পুলিস কর্মীরা খুন করেননি তো! উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় জড়িত ১৬ জন পুলিসকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে বাংলাদেশের সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঢাকার কক্সবাজারের কাছে একটি চেকপোস্টের সামনে সিনহাকে গুলি করে পুলিসকর্মীরা। টেকনাফ থেকে কক্সবাজার আসছিলেন সিনহা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বন্ধু। সেই সময় ওই চেকপোস্টে সিনহার গাড়ি আটকায় পুলিস। পরিচয় জানার পর ও গাড়ির কাগজপত্র দেখে সিনহার গাড়ি ছেড়ে দেয় পুলিস। কিন্তু গাড়ি স্টার্ট দিতেই আবার তাঁকে দাঁড়াতে বলেন পুলিসকর্মীরা। তখনই চটে যান সিনহা। এর পর গাড়ি থেকে নেমে তিনি পুলিসকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান। পুলিসের বয়ান, সেই সময় নিজের বন্দুক উঁচিয়ে সিনহা পুলিসকর্মীদের দিকে তেড়ে এসেছিলেন। আত্মরক্ষার জন্য তাঁর উপর গুলি চালাতে বাধ্য হন পুলিসকর্মীরা। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সিনহাকে তিনটি গুলি করেছিলেন পুলিসকর্মীরা। চেক-পোস্টের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলি বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে সিনহার পরিবার। গাড়িতে থাকা সিনহার বন্ধুর উপরও গুলি চালায় পুলিস।


বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এক গোয়েন্দ কর্তা ওই চেকপোস্ট দিয়ে যাওয়ার সময় গোটা ঘটনা মোবাইলে রেকর্ড করেছিলেন। কিন্তু পুলিস তাঁর মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। গুলি লাগার দুঘণ্টা পর সিনহাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিস। তাই সিনহার মৃত্যুতে পুলিসের ষড়যন্ত্রের অভিযোগও উঠেছে। বাংলাদেশ পুলিসের তরফে অবশ্য কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি এই নিয়ে। তবে অনেক পুলিসকর্মী বলেছেন, সিনহাই প্রথম বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে আসেন। তাই পুলিস গুলি করে। সিনহার মা ও দুই বোন জানিয়েছেন, অবসরের পর ইউ টিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করছিলেন সিনহা।