করোনা আতঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই চাকরি খোয়ালেন অ্যামাজনের ২ কর্মী
আমেরিকায় করোনা প্রকোপ বাড়ার পর থেকে গুদাম ঘরের পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন কর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদন- সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণের জেরে বেহাল অর্থনীতি। বিশ্বব্যাপী বহু মানুষের চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার অ্যামাজন সংস্থা বরখাস্ত করল তাঁদের দুই কর্মীকে। বিশ্বব্যাপী সংক্রমণের জেরে অ্যামাজনের গুদামঘরে কাজের পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেছিল এই দুই কর্মচারী। মূলত "বারবার অভ্যন্তরীণ নীতিমালা লঙ্ঘন করায়" দুই কর্মীকে বরখাস্ত করেছে এই ই-কমার্স সংস্থা।
কয়েকদিন আগেই এই সংস্থার কাছে কর্মক্ষেত্রের স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত কয়েকটি দাবী তুলে ধরেছিলেন খ্রিস্টিয়ান স্মল নামে এক কর্মী। তাঁকেও বরখাস্ত করেছিল এই ই-কমার্স সংস্থা। এবার ছাঁটাইয়ের চিঠি হাতে পেলেন এলিনি কানিংহাম ও মারেন কোস্টা নামে দুই ডিজাইনার।
আমেরিকায় করোনা প্রকোপ বাড়ার পর থেকে গুদাম ঘরের পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন কর্মীরা। বিভিন্ন দেশের কর্মীরা এ ব্যাপারে প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন। অ্যামাজনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক কর্মীর নিজের কাজের জায়গা সম্পর্কে সমালোচনা করার অধিকার রয়েছে। তবে তা আভ্যন্তরীণ নিয়ম ভেঙে নয়।
আরও পড়ুন- 'কাঁদো দেশবাসী কাঁদো', প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দিশাহীন বলে কটাক্ষ চিদমম্বরদের
বিশ্বের বৃহত্তম এই ই-কমার্স সংস্থা লকডাউনের নিয়ম মেনেই গ্রাহকদের কাছে সরকারি সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। সম্প্রতি তাঁরা তাদের গুদামগুলিকে কার্যকারী রাখতে নতুন পদক্ষেপ করেছে। এর সঙ্গে নিজেদের সুরক্ষা প্রোটোকলেও বদল এনেছে আমাজন।
গত মাসে নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাসিও মানবাধিকার কমিশনকে খ্রিস্টিয়ান স্মলের এই ছাঁটাইয়ের বিষয় খতিয়ে দেখতে বলেছিলেন। পাঁচ আইনবিদও গত সপ্তাহে সংস্থাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু ফল মিলল কোথায়! কয়েকদিনের মধ্যেই ফের ছাঁটাই। তাহলে কি প্রশ্ন তুললেই হাতে মিলবে চাকরি থেকে বিতাড়িত হওয়ার কাগজ! উঠছে প্রশ্ন।