নিজস্ব প্রতিবেদন- ২০১৯ সালে চিন যত শূকরছানা আমদানি করেছিল, চলতি বছরে আমদানি করেছে তার থেকে ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টন বেশি। কারণ একটাই! চিনে এখন বন্য প্রাণীর মাংস খাওয়া বারণ। তাই বাদর, কুকুর, সাপ, পাখি ও অন্য বন্য জীবজন্তুর মাংস বিক্রি হওয়া বাজারগুলিতে তালা ঝুলছে। চিনারা তাই এবার শূকরের মাংসে ভরসা রাখছে বেশি। আর তাই আমদানির পরিমাণও বাড়ছে। বোয়িং ৭৪৭ কার্গো বিমানে চেপে হাজার হাজার শূকর ছানা রওনা দিয়েছে চিনে। বিমানের ভেতরে কাঠের ক্রেট-এ রেখে তাদের নিয়ে যাওয়া হল। গত বছর চিনে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু-র দাপটের জন্য শূকর চাষ ব্যহত হয়েছিল। আর এবার করোনাভাইরাসের প্রকোপ। চলতি বছর প্রথম চার মাস আমেরিকা থেকে দুলাখ ৫৪ হাজার ৫৩৩ টন শূকরছানা আমদানি করেছিল চিন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্বজুড়ে লকাডাউনের জেরে বহু বিমান সংস্থাগুলো লোকসানে চলছে। জার্মানির লুফতানসা বিমান সংস্থা ২২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে বলে জানা গিয়েছে আজই। তবে লকডাউনে লোকসান তো দূরের কথা, উল্টে ভাল লাভ করেছে ভলগা-নিপার গ্রুপ। কারণ তারা মূলত মালবাহী বিমান চালায়। লকডাউন চলাকালীন ভলগা-নিপার গ্রুপের আয় বেড়েছে ৩২ শতাংশ। এই সময় রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানিতে ডাক্তারি যন্ত্রপাতি ও রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় গাড়ি ও সরঞ্জাম পরিবহণ করেছে তারা। এই সংস্থার মালিক আলেক্সেই ইসায়কিন জানিয়েছেন, এর আগে তারা  উপগ্রহ ও আপৎকালীন সেতু তৈরির সরঞ্জাম পরিবহণ করেছে। লকডাউনে মাল পরিবহণ করা বিমানের চাহিদা বেড়েছে। তাই ব্যবসাও বেড়েছে। আর এই সময় পণ্য পরিবহণের ভাড়াও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।


আরও পড়ুন- ১৭ ফুট পাইথনের সঙ্গে হাতাহাতি, শেষমেশ যুদ্ধ জয় করে ফিরলেন রক্তাক্ত মাইক


এর আগে ইউরোপ থেকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শূকরছানা আমদানি হত চিনে। কিন্তু চলতি বছরে আমেরিকা টেক্কা দিয়েছে ইউরোপকে। অর্থাত্, ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখে যতই চিনবিরোধী কথা বলুন, তলায় তলায় ভালই ব্যবসা গুছিয়ে নিচ্ছেন। তাছাড়়া করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে চিনে আবার পণ্য পরিবহণ বাড়ছে। যা কি না অন্য দেশগুলির কাছে সুখবর।