কর্মী ছাঁটাই একটা বিষাক্ত সংস্কৃতি`, প্রতিবাদে ইস্তফা দিলেন অ্যামাজনের ভাইস প্রেসিডেন্ট টিম ব্রে
এমনকি সংস্থার এই কাজগুলিকে `কোম্পানির বিষাক্ত সংস্কৃতি` বলে উল্লেখ করে সেই বিষে কাজ না করার কথা লিখেছেন অ্য়ামাজনের এই প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সংস্থার কর্মী ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ইস্তফা দিলেন বিশ্বের অন্যতম বড় ইকমার্স সংস্থা অ্যামাজনের ভাইস প্রেসিডেন্ট টিম ব্রে। করোনা সংক্রমণের জেরে বিধ্বস্ত গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। তার মধ্যেই অ্যামাজনের কয়েকজন কর্মী মাস খানেক আগে অ্যামাজনের গুদাম ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। "বারবার নীতিমালা লঙ্ঘন" করার অভিযোগে গুদাম ঘরের ওই দুজন ডিজাইনার কানিংহাম ও মারেন কোস্টাকে বরখাস্ত করেছিল বিশ্বের এই বৃহত্তম ই-কমার্স সংস্থা। এর আগেও খ্রিষ্চিয়ান স্মল নামে এক কর্মী অ্যামাজনের স্বাস্থ্যবীধি সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলে ধরার দরুন তাঁর হাতে এসেছিল বরখাস্তের কাগজ। বিশ্বব্যাপী এই মন্দার সময় যখন আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন বারবার বহু মানুষের কাজ হারানোর আশঙ্কা করছে তখন একের পর এক কর্মীকে ছাঁটাই করছে সংস্থা। তাই ইস্তফা দিয়েছেন, নিজের ব্লগে এমনটাই লিখেছেন ব্রে। এমনকি সংস্থার এই কাজগুলিকে "কোম্পানির বিষাক্ত সংস্কৃতি" বলে উল্লেখ করে সেই বিষে কাজ না করার কথা লিখেছেন অ্য়ামাজনের এই প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন:করোনা প্রতিষেধক তৈরিতে ৮০০ কোটি ডলার দিচ্ছে চিন-সহ গোটা বিশ্ব, উল্টো পথে হাঁটল আমেরিকা
তবে সাফাই দিয়ে অ্যামাজন জানিয়েছে স্মল কোয়ারেন্টিনের নিয়ম না মেনে কাজ করছিলেন তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্টের এই ধরনের কথার পর কিছুটা হলেও বেকফুটে অ্যামাজন। আগে থেকেই বারবার অ্যামাজনের বিরুদ্ধে অস্বাস্থ্যকর কর্মক্ষেত্রের অভিযোগ এনে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে নেমেছিলেন কর্মীরা। ব্রের এই পদক্ষেপ সেই প্রতিবাদে নতুন মাত্রা দেবে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তবে ব্রে অবশ্য পরে বলেছেন, তিনি একজন ব্লগার তাই তাঁর জীবনের কথা ব্লগে লিখেছেন। অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই তাঁর। এর আগে স্মলের ছাঁটাইয়ের পর্যালোচনা করার জন্য মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাসিও। এবার ফের অ্যামাজনের গুদাম ঘরের অবস্থা জানতে চেয়ে অ্যমাজনের কর্তা জেফ বেজসকে চিঠি লিখেছেন ওহিওর সিনেটর সেরড ব্রাউন ও নিউ জার্সির সিনেটর করি বুকার।