হিজাববিরোধী বিক্ষোভের সঙ্গে আছেন, তাই নিজের চুল কেটে কেরালায় পাঠালেন ইরানি চলচ্চিত্রনির্মাতা...
Iranian Filmmaker Mahnaz Mohammadi: ইরানি চলচ্চিত্রনির্মাতা লিখছেন, `এটা আপনাদের পাঠাচ্ছি তার কারণ, এই মহূর্তে আমাদের এখানে যে-আন্দোলন চলছে, তাতে সকলের সমর্থন কাম্য। আমরা আমাদের অধিকার রক্ষায় লড়ছি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হিজাব বিরোধী বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কেরালা চলচ্চিত্র উৎসবের জুরির কাছে কাটা চুলের গোছা পাঠালেন ইরানি চলচ্চিত্রনির্মাতা মাহনাজ মহম্মাদি। চুলের গোছা, তাকে আমরা চুলের নুটি বলতে পারি। চুলের নুটির মারফত আশ্চর্য এই প্রতিবাদ করলেন তিনি। শুধু তাই নয়, কেরালা চলচ্চিত্র উৎসব কর্তৃপক্ষ তাঁকে যে পুরস্কারে ভূষিত করতে চলেছে সেটাও তিনি নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। কেননা, এখন ইরানে বহির্ভ্রমণ ব্যান আছে। ফলত, তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর হয়ে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন আথিনা ব়্যাচেল সাংরি। সাংরিই পরে মাহনাজের পাঠানো চুলের নুটিটি তুলে ধরে দেখান এবং মাহনাজ যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন সেটা পড়ে শোনান।
আরও পড়ুন: 28th KIFF: অমিতাভ-ময় চলচ্চিত্র উৎসব, রেট্রোস্পেকটিভ থেকে বিশেষ প্রদর্শনী, উদ্বোধনী ছবি ‘অভিমান’
কী বলেছেন সেখানে মাহনাজ?
ইরানি চলচ্চিত্রনির্মাতা লিখছেন, 'এটা আপনাদের পাঠাচ্ছি তার কারণ, এই মহূর্তে আমাদের এখানে যে-আন্দোলন চলছে, তাতে সকলের সমর্থন কাম্য। আমরা আমাদের অধিকার রক্ষায় লড়ছি। আমাদের জন্য সেই অধিকার নিশ্চিত হওয়া জরুরি।' স্বভাবতই মাহনাজের বার্তা পড়ে ও আথিনা ব়্যাচেল সাংরির হাতে ধরা তাঁর চুলের নুটি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শ্রোতা-দর্শককুল। সকলে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁর আবেগকে সম্মান জানান।
আরও পড়ুন: Janhvi Kapoor: প্রাক্তন শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে মলদ্বীপে জাহ্নবী, ধরা পড়লেন হাতেনাতে...
সারা পৃথিবী জানে ইরানে কী চলছে। মাশা আমিনি কাণ্ডে সেখানে আগুন জ্বলছে। মাশাকে পুলিসি হেফাজতে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন দেশবাসী। কর্তৃপক্ষ তা মেনে নেয় না। পুলিসের সঙ্গে সে দেশের সাধারণ মানুষের দীর্ঘ সংঘাত চলতে থাকে। অত্যাচারী পুলিসের সঙ্গে সংঘাতে আরও অনেকের প্রাণ যায়। অনেকে আহত হন। এখনও অনেকে হাসপাতালে, অনেকে পুলিসি হেফাজতে। এর মধ্যে হিজাববিরোধী আন্দোলনের প্রথম মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়েছে ইরানে। তা নিয়েও দেশে আগুন জ্বলেছে। দেশ যে এখন অগ্নিগর্ভ তা বোঝা যাচ্ছে মাহনাজের ঘটনায়। তাঁর দেশ ছেড়ে বেরেতো না পারায়, তাঁর এই নিজের চুল কেটে পাঠানোয়।