নিজস্ব প্রতিবেদন: গজনির সুলতান মামুদের প্রশংসা করল তালিবান পাশাপাশি সুলতানের মাজার সংস্কারের সিদ্ধান্তও নিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিহাসের বিশ্লেষকেরা সুলতান মামুদকে সাধারণত নেতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখে থাকেন। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায়-- পার্সি ইতিহাসবিদ মুহম্মদ কাশিম ফিরিশতা সোমনাথ মন্দির ধ্বংস প্রসঙ্গে মামুদকে এক 'নির্বোধ, একগুঁয়ে, লোভী দস্যু' হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। যদিও বোঝা যাচ্ছে, একুশ শতকে এসে তালিবান শাসকেরা আর তা মনে করেছে না। তাদের কাছে মামুদের লুঠপাট আর মন্দির ধ্বংসের কাজ রীতিমতো গৌরবের! আর সে কারণেই হাজার বছর আগেকার সেই প্রসঙ্গ টেনে ওই শাসকের সমাধিস্থল সংস্কারের কথা জানাল তারা।


আরও পড়ুন: Lars Vilks: পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হল নবীর ব্যঙ্গচিত্র এঁকে তোলপাড় ফেলে দেওয়া কার্টুনশিল্পীর


আফগান তালিবান নেতা তথা হক্কানি নেটওয়ার্কের অন্যতম মুখ এই আনাস হক্কানি মঙ্গলবার মামুদের হাতে সোমনাথ মন্দির ও সেই মন্দিরের দেবমূর্তি ধ্বংসের কথা উল্লেখ করেন। মামুদের সমাধিস্থল পরিদর্শনের পরে ওই তালিবান নেতা টুইটে জানান-- আমরা সুলতান মামুদ গজনভির মাজার পরিদর্শন করেছি। তিনি এক জন বিখ্যাত মুসলিম যোদ্ধা, দশম শতাব্দীর মুজাহিদ। তিনি সোমনাথের দেবমূর্তি ধ্বংস করছিলেন। তিনি গজনি থেকে এই অঞ্চল পর্যন্ত এক শক্তিশালী মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।


ইতিহাস বলছে, আফগানিস্তানের তুর্কি শাসক সুলতান মামুদ ১৭ বার ভারত আক্রমণ করেছিলেন। বারবার হানা দিয়ে তিনি গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরের ধনরত্ন লুঠের পাশাপাশি মন্দিরটি ধ্বংসও করেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা লাভের পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল সোমনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছিলেন। ১০৩০ সালে গজনিতে মৃত্যু হয়েছিল মামুদের। তাঁর সমাধিস্থলের উপরে গড়ে তোলা হয়েছিল মাজার। দীর্ঘ দিন সেটির সংস্কার হয়নি। 


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Beer Pots: চিনে ৯০০০ বছর আগের মৃৎপাত্র! সুরাপানের?