ওয়েব ডেস্ক: হাত বাড়ালেন মোদী। কিন্তু সেই হাত আবারও ফিরিয়ে দিলেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। 'আবারও' শব্দটি বলা হচ্ছে কারণ, ২০১৫ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন মেরকেল। কিন্তু এবার যা হল তা কিঞ্চিত ভিন্ন, সাম্প্রতিক জার্মান সফরকালে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার পরই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেখা যায় চ্যান্সেলর মেরকেলের উদ্দেশে হাত বাড়িয়ে দিতে। কিন্তু মেরকেল তাতে প্রত্যুত্তর না দিয়ে বরং মোদীকে দুই দেশের ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকার দিকে ইঙ্গিত করেন। সেখানে দাঁড়িয়ে অবশ্য দুজনে প্রকাশ্যে করমর্দন করেন। আর এই নিয়েই চরমে চড়েছে চর্চা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



আন্তর্জাতীক কূটনীতিতে করমর্দনের গুরুত্ব অপরিসীম বলে মনে করা হয়। করমর্দন এবং শরিরী ভাষাই বহুক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্কের পরিচায়ক হয়ে দাঁড়ায় বলে মনে করেন কূটনীতিবিদদের একাংশ। ফলে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে মেরকেলের এমন ব্যবহারকে অনেকেই কেবল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর 'হাত মেলানোর সময়জ্ঞানের অভাব' বলে মানতে নারাজ। একথা হয়ত ঠিক যে, বিদেশ সফর কালে দুই দেশের পতাকার সম্মুখে করমর্দনই রেওয়াজ, কিন্তু নরেন্দ্র মোদী যখন হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তখন সেই পরিস্থিতি অন্যভাবেও সামলানো যেত বলে মত আন্তর্জাতিক মহলের। ফলে, যেভাবে দ্বিতীয়বারও মোদীর হাত ফিরিয়ে দিয়েছেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল তাতে 'তাত্পর্যপূর্ণ ইঙ্গিত বা মনোভাবের প্রকাশ' ঘটেছে, এমনটাই বিশ্লেষণ ওয়াকিবহাল মহলের।