Anthony Fauci: ইস্তফা করোনা প্রতিরোধের `মুখ` ফাউচির; পদ থেকে সরছেন, কাজ থেকে নয়
করোনানিরাময়ের মুখ তিনি, বলা ভালো বিশ্বজোড়া করোনা প্রতিরোধব্যবস্থার অন্যতম সেরা প্রবক্তা। অ্যান্টনি ফাউচি। এবার অবসরের চিন্তা করছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এর আগে তিনি এইচআইভি বা এইডস এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্বে করোনানিরাময়ের মুখ তিনি। বলা ভালো, করোনা প্রতিরোধব্যবস্থার অন্যতম সেরা প্রবক্তা। অ্যান্টনি ফাউচি। এবার অবসরের চিন্তা করছেন। তবে, ঠিক খাঁটি অর্থে অবসর নয়। তিনি বরং ভূমিকা বদল করবেন। দীর্ঘদিন যে সরকারি পদে থেকে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে গিয়েছেন, সেখান থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন, তা বলে নিজের প্যাশন থেকে নিজের ভালোলাগা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন না। সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষস্থানীয় রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচি। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন চাকরি করেছেন। ফেডারেল সরকারের বিভিন্ন পদের দায়িত্বও সামলেছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টার পদে ছিলেন তিনি। এহেন বর্ণময় ব্যক্তিত্ব ড. ফাউচি সোমবার ঘোষণা করেছেন, আগামী ডিসেম্বরেই তিনি সরকারি পদ থেকে সরে যাবেন। কেন সরে যাবেন? সেটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন 'ফেস অফ করোনাভাইরাস রেসপন্স' অ্যান্টনি ফাউচি। সোমবারই তিনি জানিয়েছেন, আমি এবার আমার কর্মজীবনের পরবর্তী অধ্যায়ে পা দেওয়ার কথা ভাবছি। সেই লক্ষ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বরে সরকারি সব পদগুলি ছেড়ে দেব। এই ভূমিকাগুলি আমার কাছে আজীবনের সম্মান। তবে সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিলেও আমি অবসর নিচ্ছি না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ড. ফাউচির বিপুল প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে পরিচয় থাকুক বা না থাকুক, তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে তিনি সমস্ত আমেরিকাবাসীর জীবনকে স্পর্শ করেছেন। জনসেবামূলক এই ভূমিকা পালনের জন্য তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তাঁরই জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাস্থ্যগত দিক থেকে শক্তিশালী এবং সংহত হয়ে উঠতে পেরেছে।
এর আগে বহু সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দিলেও, কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়েই মূলত ফাউচির নাম বিশ্বের প্রায় প্রতি ঘরে পৌঁছে যায়। অনেকেই মনে করেন, ড. ফাউচির পরামর্শ যদি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেনে নিতেন, তাহলে কোভিড অতিমারীতে আমেরিকার অবস্থা এত খারাপ হত না।
৮১ বছর বয়সী এই ভাইরোলজিস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা পদের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসেস-এর ডিরেক্টর এবং এনআইএআইডি ল্যাবরেটরি অব ইমিউনোরেগুলেশন-এর'ও প্রধানের পদে রয়েছেন।