জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চুপ করে শুয়েছিল ইতিহাস! কিন্তু চুপ করে তো থাকে না ইতিহাস। কথা সে বলেই, কথা সে বলবেই। যেভাবে ইতিহাস কথা বলে উঠল ওমানে। পাথুরে জমিতে গম্বুজ ভাঙতেই চক্ষু চড়কগাছ! উঠে এল কয়েক ডজন মানুষের দেহাবশেষ! আরব উপদ্বীপের ওমানে একটি পাথরের সমাধিতে প্রায় ৭ হাজার বছর আগে কবর দেওয়া কয়েকজন মানুষের কঙ্কাল খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

 


 

প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, আল উস্তা প্রদেশে অবস্থিত নাফুন অঞ্চলের নিকটস্থ ওই কবরস্থানটি ওমানে পাওয়া মানুষের তৈরি প্রাচীনতম সৌধগুলির একটি। সমাধিক্ষেত্রটি যে এলাকায় সেটিকে মরুভূমিও বলা হয়। তবে বালির মরু নয়, পাথরের। প্রাগের চেক প্রজাতন্ত্রের ইনস্টিটিউট অফ আর্কিওলজির এক প্রত্নতাত্ত্বিক জানিয়েছেন, কবরটি কাদের তা এখনও জানতে পারা যায়নি। 

 


 

আপাতত প্রত্নতত্ত্ববিদেরা এটিকে 'ইউনিক' আখ্যা দিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, ব্রোঞ্জ যুগ বা তারও আগের সময়কার কোনও সমাধিক্ষেত্র এর আগে এখানে মেলেনি! ড্যানিয়েলিসোভা ইনস্টিটিউট তরফে একদল গবেষক এই সমাধিতে খননের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সমাধিটি প্রায় ১১ বছর আগে স্যাটেলাইট ফোটোগ্রাফে প্রথম দেখা গিয়েছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা আপাতত মনে করছেন, খুব কম করে হলেও এটি ৫০০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ৪৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যেই তৈরি করা হয়েছিল। 

 

রিপোর্টে দেখা হয়েছে, সমাধির দেয়ালগুলি পাতলা পাথরের স্ল্যাব দিয়ে যেন তৈরি করা, ভিতরে বৃত্তাকার দুটি সমাধিকক্ষ পৃথক অংশে বিভক্ত। সমাধিকক্ষে বেশ কিছু হাড় পাওয়া গিয়েছে। মূল সমাধির পাশে আর একটি ছোট সমাধি পাওয়া গিয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, এটি কিছু পরে তৈরি। 

পরবর্তী পর্যায়ে ওইসব কঙ্কাল ও দেহাবশেষের নৃতাত্ত্বিক ও জৈবরাসায়নিক বিশ্লেষণ করা হবে। করা হবে আইসোটোপ টেস্ট। হয়তো তারপরই সমাধি সম্পর্কে সমস্ত সঠিক তথ্য দিতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।


পাথুরে মরুর মধ্যে পাওয়া এই সমাধি বা সমাধিতে পাওয়া নরকঙ্কালগুলির সময়টার একটা আলগা হিসেব পাওয়া গেলেও, প্রাগের চেক প্রজাতন্ত্রের ইনস্টিটিউট অফ আর্কিওলজির এক প্রত্নতাত্ত্বিক জানিয়েছেন, কবরটি কাদের তা এখনও জানতে পারা যায়নি।