Human Footprints in Morocco: সবচেয়ে পুরনো মানবপদচিহ্ন? ১ লক্ষ বছরের প্রাচীন হিউম্যান ফুটপ্রিন্টস...
Human Footprints in Morocco: বছরসাতেক আগে মরক্কোয় তিন লক্ষ বছর আগের হোমো সেপিয়েন্সের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ওই আবিষ্কার পৃথিবীতে মানব অস্তিত্বের ইতিহাস সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছিল। এবারের আবিষ্কারও অনেক নতুন অবদান রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো কিছুদিন আগেই নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিল। বিশ্বকাপ ফুটবলের জেরে। কিন্তু ইদানীং সেই ঢেউ একটু স্তিমিত হয়েছে। এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে মরক্কো ফের শিরোনামে। মরক্কোয় প্রায় ১ লক্ষ বছরের আগের মানুষের পদচিহ্ন পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা! এর আগে, ২০১৭ সালে উত্তর-পশ্চিম মরক্কোয় তিন লক্ষ বছর আগের হোমো সেপিয়েন্সের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ওই আবিষ্কার পৃথিবীতে মানব অস্তিত্বের ইতিহাসকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছিল। এবারের আবিষ্কারও অনেক নতুন অবদান রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন: Hindu Kush Himalaya Biosphere: হিমালয়ের এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র বিপন্ন! প্রায় ৮ কোটি মানুষ কেন ভীত?
ঘটনাস্থল মরক্কোর লারাচে উপকূল। সেখানে মানুষের ৮০টির বেশি পদচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। 'নেচার' পত্রিকায় গত জানুয়ারিতে এ নিয়ে একটি গবেষণানিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছিল ফ্রান্সের বোঁতানিয়া সুঁদ বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষকদলে ছিলেন মরক্কো, স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানির প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। মনে করা হচ্ছে, উত্তর আফ্রিকায় এটাই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাচীন মানুষের অস্তিত্ব আবিষ্কারের ঘটনা।
৮০টির বেশি পদচিহ্ন। আর্কিওলজিস্টদের ধারণা, পদচিহ্নগুলি মোট পাঁচজন হোমো সেপিয়েন্সের। তাঁদের মধ্যে ছিল শিশুও। মরক্কোর আর্কিওলজিক্যাল স্পট লিক্সাস লারাচের কিউরেটর অনাস সেদরাটি বিষয়টি নিয়ে চর্চা করে বলেছেন, সম্ভবত এই দলটি সমুদ্রসৈকতে খাদ্যের সন্ধান করছিল। পেশায় সম্ভবত তারা জেলে ছিল। কিংবা সমুদ্র উপকূল থেকে শামুক-ঝিনুকের মতো জিনিসের সংগ্রাহক।
নেচার পত্রিকার লেখাটিতে বলা হয়েছে, বিশ্বে এ পর্যন্ত ভালোভাবে সংরক্ষিত প্রাচীনতম মানব-অস্তিত্বের চিহ্নের মধ্যে মরক্কোর উপকূলের এই পদচিহ্ন অন্যতম। এবং এটি উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীনতম মানবচিহ্ন বলে এখনই স্বীকৃত।
আরও পড়ুন: Yosemite Firefall: দেখুন অবিশ্বাস্য দৃশ্য! জলপ্রপাতে আগুন? উফ্! ভয়ংকর...
গবেষকেরা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে তাঁরা পদচিহ্নগুলি খুঁজে পান। একটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের অংশ হিসেবে তাঁরা তখন সেই অঞ্চলের উপকূলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাথরের উৎস ও ধরন নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন। সেটা করতে গিয়েই এই প্রাপ্তি!