ওয়েব ডেস্ক: লাল চুলের ফ্ল্যামবয়েন্ট আর্চিকে রূপ দিতেন ইনিই। চলে গেলেন সেই সৃষ্টিকর্তা। সোমবার টেক্সাসে ৮৬ বছর বয়সে মারা গেলেন টম মুর। মঙ্গলবার তার মৃত্যুর খবর জানান তার ছেলে লিটো বুজন্দা-মুর। জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে গলায় ক্যান্সার ধরা পড়েছিল মুরের। কিন্তু, স্বেচ্ছায় চিকিত্সা থেকে দূরে ছিলেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোরিয়ায় যুদ্ধের সময় মার্কিন নৌসেনায় থাকাকালীন কার্টুন আঁকতে শুরু করেন টম মুর। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত আর্চি অ্যান্ড্রুজ ও তার বন্ধুদের কার্টুন এঁকেছেন তিনি। এল পাসো টাইমসে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ষাটের দশকে এক বছরে প্রায় ৫ লক্ষ বিক্রি হত আর্চি কমিক। ১৯৯৬ সালে এল পাসোকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মুর বলেন, এক মাসে একটা কমিক আঁকতাম। তাতেই সবকিছু হয়ে যেত। আমরা ৬ মাস আগে থেকে কাজ শুরু করতাম। জুন মাসে কাজ করতাম ক্রিসমাস সংখ্যার জন্য। আমার জানলার বাইরে যখন বরফের স্তুপ তখন হয়তো আমি বাড়িতে বসে বিচ সংখ্যার জন্য কাজ করছি।


যুদ্ধের পর জিএল বিল থেকে পাওয়া ত্রানের টাকায় নিউ ইয়র্কে কার্টুনিস্টদের স্কুলে ভর্তি হন টম মুর। টারজান কমিক স্ট্রিপের ইলাসট্রেটর বার্ন হোরগাথের কাছে তালিম নেন তিনি। ১৯৪১ সালে বব মন্টানা সৃষ্টি করেন
আর্চি। ১৯৫৩ সালে যোগ দেন টম। ১৯৬১ সালে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ড ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে এল পাসোতে ফিরে যান মুর। পরে তাকে ফিরিয়ে আনেন বব মন্টানা। সেই থেকে অবসর গ্রহণের আগে পর্যন্ত আর্চির সঙ্গেই ছিলেন টম মুর। আর্চি কমিকের এডিটর ইন চিফ ভিক্টর গোরেলিক টম মুরকে বলেছেন 'কার্টুনিস্ট'স কার্টুনিস্ট।' আর্চির বন্ধু জাগহেডের ঐতিহাসিক মেকওভার করেছিলেন টমই।


২০ বছর আগে মুরের কমিক কালেকশন প্রদর্শনী করেছিল এল পাসো মিউজিয়াম। মুর তখন বলেছিলেন, আমি যা করেছি তা নিজে উপভোগ করেছি, সকলের ভাল লেগেছে তাতে আমি খুশি। আমার কাজ এই সংগ্রহশালায় থাকবে। কে জানত আর্চির গোটা বিশ্বে এতো জনপ্রিয় হবে?