ওয়েব ডেস্ক: দশ বছর আগের ঘটনা। ল্যান্ডমাইনের উপর পা পড়ে গিয়েছিল ছোট্টো মোসার। সেসময় তার বয়স ছিল মাত্র সাত মাস। দুর্ঘটনার পরপরই মোসাকে নিয়ে যাওয়া হয় তাইল্যান্ডের এশিয়ান এলিফ্যান্ট ফাউন্ডেশন পরিচালিত হাসপাতালে। সেখানেই বাদ দেওয়া হয় তার একটি পা। দুবছর পর চিকিত্‍সকদের সৌজন্যে কৃত্রিম পা পায় মোসা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে থাকে পা। এ মাসের এক তারিখ নবম কৃত্রিম পা পেলো মোসা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কুসুমকুমারি  আর  যাত্রামঙ্গলদের সেই দিন আর নেই।  হাতি মেরা সাথির দিন পেরিয়ে এখন হাতি  মানেই তাণ্ডবের গল্প। বাঁকুড়ার  ধানখেতে  দলমার  দাঁতালদের  আতিথ্য হোক কিম্বা শিলিগুড়ি শহরে   ঢুকে পড়া হাতির  দিনভরের টানটান উত্তেজনা। হাতি--এখন সমস্যাই বটে। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাতি আটকাতে তত্‍পর   হতে  বলেছেন। বনকর্তারা বৈঠক করছেন মাঝেমধ্যেই। হাতি আটকাতে  বিদ্যুতের তার  দিয়ে ঘেরা হচ্ছে জমি। হাতিও কম চালাক নয়, হাতি জানে শুঁড় বা পা দিয়ে তার  ছিড়তে গেলে বিদ্যুত্‍ স্পৃষ্ট হতে হবে।  হাতি দাঁত দিয়ে ছিড়ে ফেলছে তার। অর্থাত্‍ হাতি আটকানো যাচ্ছে না। আরও নৃশংস হচ্ছে মানুষ। হুলা পার্টি, মশাল বাহিনী, ঘুমপাড়ানি গুলি---।


আরও পড়ুন প্রেম গোপন ভালো নাকি খুল্লামখুল্লা?


বেশি ডোজের  গুলিতে হাতি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। এছাড়া চোরা শিকারিদের  সক্রিয়তাতো রয়েইছে।  এ তো রাজ্যের কথা। সারা বিশ্বেও সমস্যাটা কিন্তু একই রকম। সমস্যার   আরও গভীরতম দিক হচ্ছে   জঙ্গলে পোতা মাইন। হাতি বুদ্ধিমান-স্মরণ শক্তিও যথেষ্ট  কিন্তু  বিধ্বংসী  মাইন  কোথায় পোতা আছে তা দেখে শুনে জঙ্গলে চলাফেরা করার মতন নয়। শ্রীলঙ্কা জঙ্গল কিম্বা মায়েনমার-থাইল্যান্ডের সীমানা মাইন ফেটে হাতির পা উড়ে যাওয়ার ঘটনা কম নয়। মানুষের ক্ষেত্রে কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা আছে কিন্তু হাতিদের ক্ষেত্রে। আছে। থাইল্যান্ডে।  থাইল্যান্ডে  ফ্রেন্ডস অব এশিয়ান এলিফ্যান্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হাতিদের হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। এই হাসপাতালেই কৃত্রিম পা পরে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে মোশা নামের একটি হাতি। সাত মাস বয়সে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে ডান পা হারায় হাতিটি।  


রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ল্যামপ্যাং প্রদেশের  এশিয়ান এলিফ্যান্ট ফাউন্ডেশনের  হাসপাতালে। মোশাকে বাঁচানো গেলেও স্বাভাবিক  জীবনে ফিরতে পারেনি সে।  একটি পা ছাড়া ছশ কেজি ওজনের শরীরটাকে টানতে খুব কষ্ট হত তার। তাকে নতুন জীবন দেন পশু চিকিত্‍সক থার্ড চাই  জিভাকেট। মোসা কৃত্রিম পা নিয়ে এখন হাটতে পারছে। কিন্তু সমস্যা একটা আছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃত্রিম পাও বদলাতে হয়। প্রতিবারই অন্য তিনটি পায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন ভাবে তৈরি করতে হয় কৃত্রিম পা। হাতি হাসপাতালের চিকিত্‍সকরা জানিয়েছেন প্রয়োজন অনুসারে তাঁরা বদলে দেবেন মোসার পা। সাদা হাতির দেশ থাইল্যান্ডে শুধুমাত্র  হাতির জন্যই  হাসপাতাল হয়েছে। আর সেই হাসপাতালে এখন সতেরোটি হাতি চিকিত্‍সাধীন।


আরও পড়ুন  শুধু লেখা নয়, বৃষ্টির রাতে শুনুন এক অন্য FM